Anganwadi Kendra: নিয়ম করে কাক আসে ডিম খেতে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর বটে!
Hooghly: রাঁধুনিদের অভিযোগ, এমনও হয় রান্নাঘর থেকে কাক বা অন্য পাখি এসে খাবার নিয়ে ফুড়ুৎ। বৃষ্টির সময় তো আরও বিপদ। অভিভাবকরাও বলেন, বাচ্চাদের খাবারে কী কী যে মেশে কে জানে। সবসময় ভয় হয়, বাচ্চাগুলোর কোনও ক্ষতি না হয় যেন।
হুগলি: মিডডে মিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। খাবারের মান, মেয়াদ উত্তীর্ণ রান্নার জিনিস থেকে রান্নাঘরের ভগ্নপ্রায় দশা, অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ। চাঁপদানি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফেশুয়া বাগান এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা নিয়ে উঠছে অভিযোগ। বাচ্চাদের জন্য খাবার তৈরি হয় যে রান্নাঘরে, তার অবস্থাই শোচনীয়।
রান্নার ঘরের মাথায় এজবেস্টারের ছাউনি। অথচ তার এমনই দশা আকাশও দেখা যায়। ভেঙে গিয়েছে জানালার কাচ। শীত, বর্ষায় কাজ করতে খুবই সমস্যা হয় কর্মীদের। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই রান্না করতে হয় বলে অভিযোগ কর্মীদের।
রাঁধুনিদের অভিযোগ, এমনও হয় রান্নাঘর থেকে কাক বা অন্য পাখি এসে খাবার নিয়ে ফুড়ুৎ। বৃষ্টির সময় তো আরও বিপদ। অভিভাবকরাও বলেন, বাচ্চাদের খাবারে কী কী যে মেশে কে জানে। সবসময় ভয় হয়, বাচ্চাগুলোর কোনও ক্ষতি না হয় যেন।
এ নিয়ে চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁর বক্তব্য এরকম কোনও খবর তাঁকে কেউ জানায়নি। তিনি বলেন, তাঁদের জানালে ঠিক করে দিতেন। সুরেশ মিশ্রের দাবি, “এর জন্য আলাদা দফতর আছে। তবুও পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করে দিই।”
রাঁধুনি সোনালি হরিজনের কথায়, “কাকগুলো বুঝে গিয়েছে এখানে রোজ রান্না হয়। ওরা ঠিক রান্নার সময় এসে হাজির সময়। ডিম রান্না করছি, এসে মুখ দিয়ে দেয়। পুরো ডিমটা তুলে নিয়ে যেতে না পারলেও নষ্ট করে দেয়। জানলারও কাচ নেই। সেখানেও এসব উৎপাত। খুব সমস্যা এই সেন্টারে। আগে এখানে ক্লাস হলেও এই অবস্থার জন্য বাচ্চাদের পাশে একটা ঘরে পড়ানো হয়। ঠিক হয় এখানে রান্না হবে। কিন্তু রান্নারও তো একই সমস্যা। একটা ভাল পড়ার ঘর আর রান্নার ঘর করে দিক প্রশাসন, এটুকুই চাই।”