AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Aparupa Poddar: প্রাক্তন TMC সাংসদকে জাত তুলে গালিগালাজ, শিক্ষক দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করল কোর্ট

Aparupa Poddar: আদালত থেকে যাওয়ার পথে দোষী দম্পতি জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সাকির আলি তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই অভিযোগ যাওয়ায় টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সাকির।

Aparupa Poddar: প্রাক্তন TMC সাংসদকে জাত তুলে গালিগালাজ, শিক্ষক দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করল কোর্ট
দোষী সাব্যস্ত শিক্ষক দম্পতিImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2025 | 11:33 AM
Share

আরামবাগ: সাংসদ থাকাকালীন তাঁকে জাত তুলে গালিগালাজ করার অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল থানায়। মামলা আদালতে যেতেই শিক্ষক দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিক্ষক নাসিম আখতার ও তাঁর স্ত্রী আনাসরি খাতুনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে নাসিম আখতার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান ও আনসারি হলেন এক বেসরকারি উর্দু স্কুলের শিক্ষিকা। অপরূপার দাবি, তাঁদের বাড়িতে সেক্স র‍্যাকেট চলছিল। সেই কারণে তিনি এবং তাঁর স্বামী সাকির আলি সেখানে যান। অভিযোগ, সেই সময় প্রাক্তন সাংসদ ও তাঁর স্বামীকে জাত তুলে গালিগালাজ করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর শ্লীলতাহানীও করা হয়।

সেই মামলার বিচার পর্ব চলে চুঁচুড়া আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জাজ স্পেশাল কোর্ট। আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা অভিযুক্ত দম্পতিকে অভিযোগের দু’টি ৩৫৪ ও ৫০৬ ধারা থেকে মুক্তি দেন। তবে অন্য একটি আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সাজা হতে পারে।

আদালত থেকে যাওয়ার পথে দোষী দম্পতি জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সাকির আলি তাঁদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই অভিযোগ যাওয়ায় টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সাকির। তার প্রতিশোধ নিতে মিথ্যা মামলা করা হয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান দম্পতি।

অভিযুক্তদের আইনজীবী মৃন্ময় মজুমদার বলেন, “যে দিনের ঘটনার অভিযোগ সেদিন ওই সময় দুই অভিযুক্ত শ্রীরামপুর হাসপাতালে ছিলেন। সেক্স র‍্যাকেট চালানোর অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেয়। আদালতের রায়ে প্রচন্ড হতাশ হয়েছি। এই রায় অপ্রত্যাশিত। তবু আদালত বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের আস্থা আছে।”

সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রাক্তন সাংসদ একজন তফশিলি জাতীর মহিলা। অভিযুক্তদের বাড়িতে সেক্স র‍্যাকেট চলছে সেই খবর পেয়ে যখন গিয়েছিলেন। তখন প্রাক্তন সাংসদকে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করা হয়। মোট ন’জনকে সাক্ষি করা হয়। মামলায় আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে জাত তুলে গালিগালাজ করা হয়েছে। সেই মামলায় আজ আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।”