হুগলি: দূর থেকে দূরন্ত গতিতে ছুটে আসা মারুতিটি দেখে সরে যেতে চেয়েছিলেন বাইক চালকরা। পাশ কাটিয়ে দাঁড়়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পারেননি। বেপরোয়া গতিতে আসা এক মারুতির ধাক্কায় প্রাণ গেল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন কিশোরী। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বলাগড়ের বোড়াল এসটিকেকে রোডে দুপুরে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের জিরাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘাতক মারুতিটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাড়িচালকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িচালকের নাম বিপ্লব কর্মকার। বেলঘরিয়ার বাসিন্দা বিপ্লব পেশায় ঠিকাদার। তিনি কালনার দিকে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মারুতি গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারুতিটি প্রথমে একটি বাইকে ধাক্কা মারে। তারপর আরও একটি বাইকে ধাক্কা মারে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। পানিখোলার কিশোরী ঋত্বিকা দাস (১০) এবং রুকেশপুরের বাসিন্দা সুদর্শন দাসের(৪৫) মৃত্যু হয়। তাছাড়াও সুজয় দাস নামে কুন্তীঘাটের আরও এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরাই জানাচ্ছেন, মারুতি গাড়িটি কালনার দিকে যাচ্ছিল। বাইক দুটি বলাগড়ের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনায় গুরুতর আহত দু’জনকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মারুতি গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ঠিকাদার মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।