Arambag: ‘খাবার না দিয়ে ছবি তুলছে! সিনেমায় নামব নাকি?’, ফুঁসছে জলমগ্ন গ্রামবাসী
Arambag: নাড়ু মালিক নামে এক বাসিন্দা বলেন, "নদীতে জল বাড়ছে। পরিবার নিয়ে আমরা বাঁধে উঠে এসেছি। বিডিও ম্যাডাম এলেন, ছবি তুলে নিয়ে চলে গেলেন। আমরা কি সিনেমায় নামব? ছবি তুলে কী হবে? একটা বিস্কুটের প্যাকেট, দুধের প্যাকেট নিয়ে তো আসবেন। জল, খাবার কিছুই নেই।"
হুগলি: তিনদিনের বৃষ্টিতে প্লাবিত আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। ত্রাণ সামগ্রী না পেয়ে পথ অবরোধ করলেন বন্যা দুর্গতরা। ত্রাণের দাবিতে বিডিওকে সামনে পেয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। আরামবাগের গির্জাতলা-পার্বতীচক এলাকায় দুর্গতরা ত্রাণ না পেয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সোমবার।
এদিকে সেই বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগের বিডিও অনন্যা ঘোষ ওই এলাকার সার্বিকপরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। এদিকে বিডিও হাজির হতেই তাঁকে ঘিরে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন দুর্গতরা।
বন্যা দুর্গতরা এদিন অভিযোগ করেন, বৃষ্টিতে নদ-নদীর জল উপচে পড়ছে। এলাকায় হু হু করে জল ঢুকছে। অথচ প্রশাসনিক স্তরের কারও কোনও দেখা নেই। গির্জাতলা মোড়ের বাসিন্দা সুফল অধিকারী বলেন, “আমরা সাহায্য চাইছি প্রশাসনের। তাই পথ অবরোধ করি। আর বিডিও এসেছেন বলে ওনাকেও সমস্যার কথা বলি। বললাম খাবার দেওয়ার কথা। বললেন দেবেন। এখন বাবুদের ব্যাপার। দেখি কখন দেয়।”
অন্যদিকে নাড়ু মালিক নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, “নদীতে জল বাড়ছে। পরিবার নিয়ে আমরা বাঁধে উঠে এসেছি। বিডিও ম্যাডাম এলেন, ছবি তুলে নিয়ে চলে গেলেন। আমরা কি সিনেমায় নামব? ছবি তুলে কী হবে? একটা বিস্কুটের প্যাকেট, দুধের প্যাকেট নিয়ে তো আসবেন। জল, খাবার কিছুই নেই।”
যদিও বিডিওর বক্তব্য, “শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। রান্না করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ৫ হাজার জলের পাউচ আসছে। একটা স্কুলে ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ওনারা যেতে চাইছেন না বাড়ি ছেড়ে। বারবার বোঝানো হচ্ছে।”