Arambagh: নাম আছে কিন্তু অস্তিত্ব নেই বাসস্ট্যান্ডের, ২ কিলোমিটার হেঁটে ধরতে হচ্ছে বাস, ক্ষোভে ফুঁসছেন যাত্রীরা
Arambagh: কলকাতা, আরামবাগ, তারকেশ্বর গামী যাত্রীবাহী বাসগুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই কিলোমিটার আগের স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এ ছবি দেখতে দেখতে ক্ষোভ জন্মেছে এলাকাবাসীর মনে। বন্দর বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে নিত্যযাত্রী থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাস ধরতে হয়।
আরামবাগ: ২০২১ সালের বন্যায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল খানাকুল। রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে খানাকুলের বন্দর বাসস্ট্যান্ডের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল বন্যার জল। কার্যত নদীর আকার ধারণ করেছিল বন্দর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা। আরামবাগ-বন্দর রাজ্য সড়কে বন্দর বাসস্ট্যান্ডের সম্মুখেই কংক্রিটের সেতু নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। ২০২১ সাল থেকে আজও মেরামত করা হয়নি সেতুটির। পিডব্লিউডি সেতুটি বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে ঘিরে দিয়েছে। তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে আজও বন্দর বাসস্ট্যান্ডে বাস ঢোকেনি। মেরামত করা হয়নি বাসস্ট্যান্ড। মেরামত করা হয়নি কংক্রিটের সেতুটিও।
কলকাতা, আরামবাগ, তারকেশ্বর গামী যাত্রীবাহী বাসগুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই কিলোমিটার আগের স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এ ছবি দেখতে দেখতে ক্ষোভ জন্মেছে এলাকাবাসীর মনে। বন্দর বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে নিত্যযাত্রী থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাস ধরতে হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি বিষয়টি তারা প্রশাসনিক মহলে জানিয়েছেন। বাস স্ট্যান্ড ও কংক্রিটের সেতুর দায়িত্ব পিডব্লিউডির। প্রশাসনিক উদাসীনতার জন্যই কাজ হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, খানাকুলের বন্দর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ঘাটাল। এলাকার মানুষজন বন্দর বাসট্যান্ড পর্যন্ত এসে রূপনারায়ণ পেরিয়ে ঘাটালে যাতায়াত করেন। বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত না আসতে পাড়ায় স্থানীয় মানুষজন ঘুরপথে আরামবাগ হয়ে ঘাটাল যাচ্ছেন। নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও প্রতি মুহূর্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবহণ শিল্পও মার খাচ্ছে। সকলেই চাইছেন দ্রুত পরিবর্তন হোক অবস্থার। কিন্তু, তা হবে কবে? উত্তর নেই কারও কাছেই।