চন্দননগর: অতিমারির আবহে আলোর উদযাপন। দীপাবলির পর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। আলোর সাজে দেবীর আরাধনা।
চন্দননগর থেকে কলকাতা, মফঃস্বল থেকে শহরতলি-শহর। অষ্টমীর আমেজে রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। উত্সবের মরসুমের শেষ চরণে সাজ-সাজ রব সর্বত্র। হৈমন্তিকা বন্দনা কলকাতাতেও। কোভিড বিধি মেনে বারণ শোভাযাত্রায়। থাকছে সিসিটিভি থেকে বিশেষ ওয়াচ টিম। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই দেবীর আরাধনা।
জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে যে কোনও রকমের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে চন্দননগর পুলিশ প্রশাসন। চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে এবছর কমপক্ষে ৩০০ পুজো কমিটি অনলাইনে অনুমতি চেয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে। পুজো ঘিরে গোটা এলাকায় মোতায়েন থাকছে প্রায় দেড় হাজার পুলিশকর্মী। তাদের মধ্যে ৮ জন এসপি, এসপি অ্যাডিশনাল, ১৩ জন ডিএসপি ও ২৬ জন সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার নিযুক্ত থাকবেন। এছাড়া মোতায়েন থাকছেন প্রায় ৬০০ হোমগার্ড। পুজোয় নজরদারি চালাতে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। থাকছে বিশেষ ওয়াচ টিম।
গোপন জায়গা থেকে ভিডিয়োগ্রাফির বন্দোবস্তও করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পুজোর জেরে বহু রাস্তা বন্ধ থাকায় এবারই প্রথম ব্যবস্থা করা হয়েছে অ্যাম্ুল্যান্স লঞ্চের। রানিঘাটে রাখা থাকবে সেই লঞ্চ। এই লঞ্চে করে দ্রুত রোগীকে ইমামবারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। কোভিড বিধি সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশও পুজো কমিটি গুলোকে সার্কুলেট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়েছে চন্দননগরে। পুজোর সময় রাস্তাঘাটে নজরদারি চালাতে ৫০টি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। থাকছে ওয়াচ টিম। এছাড়া গোপন জায়গা থেকে ভিডিওগ্রাফি হচ্ছে। এমন কোনও ছাদ যেখানে কারও নজর না যায় সেই জায়গায় ক্যামেরা রয়েছে। তাছাড়া ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকুলারে নজরদারি চালাবে পুলিশ।
এদিকে দুর্গাপুজোর পর থেকেই যেভাবে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র উর্ধ্বমুখী, তা নিয়েও চিন্তিত বিশেষজ্ঞমহল। এই নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা হয়েছে। কোভিড বিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: ফের হাওয়াবদল! আগামী কয়েকদিনে এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি…কত দিন পর্যন্ত চলবে?