Crops Ruined In Rains: নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে, ফসল তুলেও রেহাই নেই চাষিদের
Crops Ruined In Rains: বৃষ্টিপাতের আগাম পূর্বাভাসে তড়িঘড়ি মাঠ থেকে ধান কেটে তুলে এনেছিলেন কাটালি গ্রামের চাষিরা। বাড়ির পাশেই ধানের গাদা দিয়েছিলেন। বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে কেউ কেউ ধানের গাদাতে ত্রিপল চাপাও দিয়েছিলেন।
হুগলি: মাঠ থেকে ধান তুলেও রেহাই নেই চাষিদের। ক্রমশই নতুন করে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আবারও ক্ষতির সম্মুখীন চাষিরা। গোঘাটের কাঁঠালি গ্রামের জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে এমনিতেই ধান জমি থেকে আলু জমি ও সবজি জমিতে জল জমেছে। বৃষ্টিপাতের আগাম পূর্বাভাসে তড়িঘড়ি মাঠ থেকে ধান কেটে তুলে এনেছিলেন কাটালি গ্রামের চাষিরা। বাড়ির পাশেই ধানের গাদা দিয়েছিলেন। বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে কেউ কেউ ধানের গাদাতে ত্রিপল চাপাও দিয়েছিলেন। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে মাঠের জল। যার ফলে বাড়ির পাশে রাখা ধানের গাদাতে জল ঢুকেছে। একপ্রকার বলা যায় সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন চাষিরা।
সর্বস্ব খুইয়েই চাষ করেছিলেন তারা। ধান জমিতে আগেই ক্ষতি হয়েছে। এবার আলু জমিতে জল জমে আলু ও নষ্ট হতে বসেছে। সবজি জমি ও নষ্ট হতে বসেছে। তাতে ফের সবজির দাম আকাশছোঁয়া হতে হবে। এমন চিত্র আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার।
বৃষ্টির জেরে গোটা এলাকার মাঠ একেবারেই জল থই থই। মাঠ থেকে ধান তুলে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল। আর ওই ২৫ শতাংশ আলু পুরোপুরি নষ্ট হতে বসেছে কারণ আলু জমিতে জল জমেছে। অনেকেই মাঠ থেকে ধান কোনওক্রমে বাড়ির খামারে তুলে আনলেও ওই ভিজে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে পুরোপুরিভাবে সমস্যায় কৃষকরা। বাড়ির উঠানে বা খামারে ধান ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হলেও অঙ্কুর ফুটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ এবার দেখছেন তাঁরা। তার ওপর সবজিতেও ক্ষতি। সব মিলিয়ে আর রেহাই পেলেন না চাষিকূল।
একই চিত্র বাঁকুড়ায়। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ তৈরি হয়। যার কারণে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাঁকুড়া জেলা জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে আলু জমি ও সবজি জমিতে জল জমেছে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন সোনামুখী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার আলুচাষি ও সবজি চাষিরা ।
শুধু আলুই নয়, মটরশুটি, টমেটো, বেগুন-সহ অন্যান্য সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেই জানান কৃষকরা । অনেক আলুচাষি রয়েছেন, যাঁরা মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছেন, এখন সেই ঋণ কীভাবে শোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
দফায় দফায় ভারী বৃষ্টি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক. হলদিয়া জুড়ে। আজ জেলার প্রত্যেকটি ব্লকের ধান ও সবজির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে জেলা প্রশাসন । সেই মোতাবিক জেলার প্রতিটি ব্লককে ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত তমলুক বা হলদিয়ার কোনও গ্রামে জল জমার খবর মেলেনি। রূপনারায়ণ, হলদি, নদীবাঁধ ভাঙার সেরকম কোনও খবরাখবর এখনও পর্যন্ত নেই ।
আরও পড়ুন: Kolkata Crime News: ডান হাতে ছুরি, গলায় গভীর ক্ষত! ঘরের সামনেই উদ্ধার যুবকের দেহ