সিঙ্গুর: ধেয়ে আসছে দানা। প্রমাদ গুনছে বাংলার চাষিরা। হুগলি থেকে বর্ধমান, বাংলার দিকে দিকে মাঠ ভর্তি ধান। কিন্তু কীভাবে দানার ঝাপটা থেকে বাঁচবে সোনার ফসল? ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না কৃষকরা। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে ফসল রক্ষা করতে মাইকিং করা হচ্ছে সিঙ্গুর ব্লকের কৃষি প্রধান এলাকায়। মাইকিং প্রচারের পাশাপাশি কৃষি দফতর থেকে গ্ৰামে গ্ৰামে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে প্রচারপত্র। ঘূর্ণিঝড় থেকে ফসলকে রক্ষা করতে কী কী করা যেতে পারে তা নিয়ে সরাসরি কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন ব্লক কৃষি আধিকারিক। পাশাপাশি এখনও যাঁদের শস্য বীমা করানো নেই তাঁদের দ্রুত বীমার আওতায় আসার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।
দানাকে ঠেকাতে গোটা রাজ্যেই ইতিমধ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। চলছে বৈঠক, চলছে পরিকল্পনা। মাঠে নামছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। অন্যদিকে চাষীদের পাশে দাঁড়াতে সক্রিয় কৃষি দফতর। এদিকে চাষের এই মরসুমে হুগলী, বর্ধমানের একটা বড় অংশে বরাবরাই বড় মাত্রায় ধান চাষের ছবি দেখা যায়। হাওয়া অফিশ বলছে, উপকূলবর্তী জেলা তো বটেই, দানার ভালরকম প্রভাব পড়বে এই দুই জেলাতেও।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় এ বছর খারিফ মরশুমে প্রায় ১ লক্ষ ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র সিঙ্গুর ব্লকেই ৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। সিঙ্গুর ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা রাম দাস মাণ্ডি জানান, দানা ভালই প্রভাব ফেলতে পারে হুগলীতে। সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে। তাই এই সময়ের মধ্যে চাষীরা যাতে সবথেকে বেশি সতর্ক থাকেন সে কারণেই প্রচার চালানো হচ্ছে। তাড়াতাড়ি ধান কেটে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।