Arambag: কাজ থেকে ফিরে দেখছেন হু হু জল বাড়ছে, ত্রস্ত আরামবাগের বাসিন্দারা

Arambag: নদীবাঁধের উপরে চলছে মাথায় গোঁজার ব্যবস্থা। প্রবল বৃষ্টি, সঙ্গে হাওয়ার দাপট। এরইমধ্যে ভিজে ভিজেই লোকজন অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করছেন। এলাকার বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে নদীবাঁধের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। রাখা রয়েছে বালির বস্তা।

Arambag: কাজ থেকে ফিরে দেখছেন হু হু জল বাড়ছে, ত্রস্ত আরামবাগের বাসিন্দারা
উদ্বেগে স্থানীয় বাসিন্দারা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2024 | 11:30 PM

আরামবাগ: টানা দু’ তিনদিন ধরে বৃষ্টি। তাতেই কার্যত ভাসছে আরামবাগ। টানা বৃষ্টি ও বাঁকুড়া থেকে জল এসে ভাসাচ্ছে দ্বারকেশ্বর নদ। নদী ফুঁসছে। আরামবাগ শহরের বাঁধপাড়ার অবস্থা বেশ উদ্বেগের। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় অনেকেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। আরামবাগ পুরসভার তরফে দ্বারকেশ্বরের পার ঘেঁষে মাইকিং চলছে।

নদীবাঁধের উপরে চলছে মাথায় গোঁজার ব্যবস্থা। প্রবল বৃষ্টি, সঙ্গে হাওয়ার দাপট। এরইমধ্যে ভিজে ভিজেই লোকজন অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করছেন। এলাকার বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে নদীবাঁধের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। রাখা রয়েছে বালির বস্তা। সব মিলিয়ে জল-আতঙ্কে ভুগছে আরামবাগ শহরের একাধিক জায়গা।

এলাকার অনেকেই আরামবাগ পুরসভার ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট। পুরসভা আলোর ব্যবস্থাও করেনি বলে অভিযোগ দুর্গতদের। যে স্থানে বাঁধের অবস্থা অপেক্ষাকৃত খারাপ ও বিপজ্জনক সেখানে বালির বস্তা দেওয়া হচ্ছে রাতেই। বাঁধপাড়ার বাসিন্দাদের ভয়, এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

এলাকার মহিলারাও নদীবাঁধের দেখভালে ব্যস্ত। এরকমই একজন রেখা সাউ জানালেন, “বুক ধড়ফড় করছে। খুব ভয়ে আছি। দ্বারকেশ্বর নদের জল যেভাবে বাড়ছে, কখন যে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কে জানে! এভাবেই থাকতে হবে তাঁবু খাটিয়ে। সারাদিন বাড়ি থাকি না, লোকের বাড়ি কাজ করি। এসে দেখছি এই অবস্থা। অর্ধেক মাল তো ঘর থেকে বেরই করতে পারিনি। কী জানি কী হবে। পুরসভা থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসেছিলেন। আলোর কথা বলেছিলাম। বললেন আজ আর হবে না, আগামিকাল করে দেবেন।’