Hooghly: ‘পুলিশ যেতে দিল না’ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে না পেরে সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দুর্গতদদের
Flood: আজ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন মমতা।
হুগলি: আজ বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু তিনি ফেরত যেতেই সংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভে সামিল হলেন আরামবাগের পল্লীশ্রী ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, আরামবাগের পল্লশ্রী ও কালিপুরের বাসিন্দাদের এখনও পর্যন্ত বাড়িঘর সব জলে ডুবে রয়েছে। মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার। জামাকাপড় ও অত্যাবশ্যকীয় জিনিস নিয়ে কেউ বাইরে রয়েছে। কেউ বা রয়েছেন ফুটপাতে। এইভাবেই দিন কাটছে তাঁদের।
আর এই অভাব অভিযোগ জানাতেই আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ পর্যন্ত তাঁদের যেতে দেয়নি। যার কারণে তাঁরা নিজেদের অসুবিধার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে না পারায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গতরা। সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, আজ বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের (DVC) বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন মমতা। পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝালেন ঠিক কত কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-র কাছে ক্ষতিপূরণ (Compensation) চাইতে হতে পারে বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। এ দিন আরামবাগে (Arambagh) গিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে।’
মমতা আরামবাগে দাঁড়িয়ে বলেন, “ডিভিসি আর খাড়খণ্ডের জন্যই বাংলায় এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাঁর দাবি, ডিভিসির যদি বছরে চারবার এভাবে জল ছাড়ে, তাহলে বহু মানুষের ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, ‘সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, যে এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেখানে মানুষ সারাতে না সারাতেই আবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এ দিন মমতা পরিসংখ্যান দিয়ে উল্লেখ করেন, গতবারের বন্যায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছিল ডিভিসি। আর এবার কয়েকদিনের মধ্যে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
তিনি জানান, “৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ভবানীপুরে ভোটের দিন থেকে শুরু করে পরপর লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আর তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়ার বিস্তীর্ণ অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৩০ তারিখে প্রথমে ৪৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ১ ঘণ্টার মধ্যে আবার ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মধ্যরাতেও জল ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ১ অক্টোবর প্রথমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক ও পরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানান মমতা। সবটাই রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতার দাবি, রাজ্যের তরফে ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে। ড্রেজিং করে অন্তত আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল আটকানো সম্ভব বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘সব টাকা জলেই চলে যাচ্ছে…’ ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবেন মমতা!