BJP Leader: ‘ব্যালট দেখলেই লুঠ করে তৃণমূল’, শাসককে খোঁচা বিজেপি নেতার

তিনি বলেছেন, “তৃণমূল দলটাই তো লোকাল পার্টি হয়ে গিয়েছে। টিএমসি আমাদের কোন শাখা নেই। এই ব্যানারই লাগাবে এখন। এখনও অভ্যাসটা যায়নি। অখিল ভারতীয় তৃণমূল, সর্বভারতীয় তৃণমূল মন্ত্রী লেখা হচ্ছে। স্বপ্ন দেখতে আপত্তি নেই। মা কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন দেয় আমরা দেখেছি।”

BJP Leader: ‘ব্যালট দেখলেই লুঠ করে তৃণমূল’, শাসককে খোঁচা বিজেপি নেতার
সন্ধ্যা আরতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2023 | 9:45 AM

শ্রীরামপুর: শ্রীরামপুর নাগরিক মঞ্চের আহ্বানে মাহেশ সুরকি ঘাটে গঙ্গা আরতি ও ভজন সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য করার চেষ্টা গতবারও করেছিলেন ওরা। তার ফল ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন। এবারও চেষ্টা করে দেখুন, বাংলার মানুষ নিশ্চিহ্ন করে ছাড়বে।” এর পর তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “তৃণমূল দলটাই তো লোকাল পার্টি হয়ে গিয়েছে। টিএমসি আমাদের কোন শাখা নেই। এই ব্যানারই লাগাবে এখন। এখনও অভ্যাসটা যায়নি। অখিল ভারতীয় তৃণমূল, সর্বভারতীয় তৃণমূল মন্ত্রী লেখা হচ্ছে। স্বপ্ন দেখতে আপত্তি নেই। মা কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন দেয় আমরা দেখেছি।”

এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে তৃণমূল ও অভিষেককে আক্রমণ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব সাধারণ হয়ে গিয়েছেন। আরও সাধারণ হয়ে যাবেন। কত বড় বড় নেতা ছিলেন। তিহাড়ে এখন জল চেয়ে খেতে হচ্ছে তাঁদের। কোটি কোটি টাকা খরচা করে সাধারণ মানুষ হওয়া যায়! একদিনে একটা তাঁবুর ভাড়া ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তারপর খাওয়া দাওয়ার কথা আমি বলছি নায এরপরও সাধারণ মানুষ! আমি জানি না চশমার দাম কত। জুতোর দাম কত। জামার দাম কত। বাড়ির দাম কত। হিসাব করুন। সাধারণ মানুষ তো রাজ্যের ৮ কোটি মানুষ যারা মোদীর দেওয়া দু টাকা কিলো চাল খাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে পুরো শক্তি নিয়ে লড়াই হবে, পরিবর্তন করব।”

রবিবারের অনুষ্ঠানে রাহুল সিনহা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন এখন হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভয় পাচ্ছে। এত ব্লক হওয়ার পরেও অভিষেক ব্যানার্জি যেখানে ভোট করেছে ওদের নিজেদের মধ্যে সেখানেই ব্যালট লুট। হবে না কেন, প্রথম থেকে এরাই তো শিখিয়েছে বিরোধীদের ব্যালট লুট কর। এখন নেশা পেশা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণে যেখানে ব্যালট দেখে ইভিএম দেখে সেখানে লুট শুরু করে তৃণমূলের লোকেরা। যে কারণে কোনটা নিজেদের কোনটা পরের সেই বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এই পার্টির শৃঙ্খলা বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পার্টির রাশ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও নেই। এখন তো দেখে বোঝা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহায় অবস্থা। এত আবেদন নিবেদন হুমকির পরেও একের পর এক ব্যালট লুটের ঘটনা ঘটছে।” এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূলের তরফে।