হুগলি: অল্পের জন্য এড়ানো গেল বড়সড় ট্রেন (Train) দুর্ঘটনা। শনিবার রাতে বালিগঞ্জ স্টেশনে মালগাড়ির লাইনে উঠে পড়ে একটি চারচাকা গাড়ি। সেই সময় লাইন ধরেই বেশ খানিকটা গতিতে ছুটে আসে ওই চারচাকা গাড়ি। তখন কোনও ট্রেন ছিল না। যার জেরে বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। তবে গাড়ির মধ্যে থাকা তিনজনকে আটক করা হয়। চালক-সহ সকলেই মদ্যপ ছিল বলে খবর। এ নিয়ে এ বার তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, “বাংলায় এখন দুয়ারে সরকার নয়, দুয়ারে বোতল। গোটা বাংলা মদনে ভরে গিয়েছে।” উল্লেখ্য, গতকালই পথদুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন খোদ বিধায়ক মদন মিত্র।
পুরভোটের প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ছোট ছোট ছেলেমেয়ে সব! ওদের দোষ দিয়ে কী হবে! গোটা বাংলায় আগে দুয়ারে সরকার ছিল, এখন দুয়ারে বোতল হয়ে গিয়েছে। সবাই আগে মদনদা’কে দোষ দিত। এখন গোটা রাজ্যটাই মদনে ভরে গিয়েছে। সরকারের লেখাপড়া করানোর দিকে কোনও ধ্যানজ্ঞান নেই। এদিকে মদের দোকান খোলা রাখা হয়েছে।”
ফের শহরের রাস্তায় বেপরোয়া গতির জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ বালিগঞ্জ স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের লাইনের উপর একটি চারচাকার গাড়ি উঠে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্টেশন চত্বরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মদ্যপ চালক রেললাইনের উপর গাড়ি তুলে দেন। লাইনের উপর দিয়েই ১০০ মিটার ছুটে যায় গাড়িটি। তবে রক্ষা এই যে সেইসময়ে গাড়িতে কোনও ট্রেন ছিল না। যার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যান ওই গাড়ির যাত্রীরা। স্থানীয়দের চেষ্টায় কয়েক ঘণ্টা পরে গাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে রেলপুলিশ। দেখা যায়, বালিগঞ্জ ৪ নম্বর প্লাটফর্মের পাশের লাইনের ওপর একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ঘটনায় গাড়ির ভিতরে থাকা তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গাড়ির চালক-সহ বাকি তিনজন যাত্রীও মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। গাড়ির ভিতর থেকে মদের বোতলও উদ্ধার হয়। কোথা থেকে আসছিল গাড়িটি? কীভাবে গাড়িটি রেললাইনে চলে আসে, এ ব্যাপারে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, গুগল ম্যাপ দেখে আসছিলেন, আর তাতে বিপদ ঘটে।
এদিকে, আরও এক দুর্ঘটনার সাক্ষী কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বিটি রোডে একটি লরির সঙ্গে মদন মিত্রের বাইকের ধাক্কা লাগে। বাইক চালিয়ে একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মদন মিত্রকে (Madan Mitra) বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।
বিটি রোড রথতলার কাছে বাইকে করে যাচ্ছিলেন বিধায়ক। মাথায় হেলমেট ছিল না। সেখানে একটি ফুলের প্রদর্শনী চলার কারণে রাস্তায় অনেক মানুষের ভিড় ছিল। সামনে থেকে আসা লরিটিকে অন্যদিকে সরে যেতে বলেন বিধায়ক। কিন্তু, চালক সেকথা না বুঝে অন্যদিকে গাড়ি ঘোরাতেই বাইকে ধাক্কা লাগে। পড়ে যান মদন। কামারহাটির বিধায়ক যদিও জানিয়েছেন আরও একটু হলে বড় দুর্ঘটনা হত। খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমও তাঁর হেলমেট না পরে বাইক চালানোর ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেন।
শহরের রাস্তায় বেপরোয়া গতির জেরে ঘটে চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। কখনও পথচারীকে পিষে দিচ্ছে মদ্যপ চালক তো কখনও গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সেতু থেকে ছিটকে যাচ্ছে বাইক। সম্প্রতি এধরনের একাধিক দুর্ঘটনার সাক্ষী রয়েছে শহর কলকাতা। জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়েও দুর্ঘটনায় রাশ টানা যাচ্ছে না। রবিবার সকালেই ডোরিনা ক্রসিংয়ে এ ই অনিয়ন্ত্রিত গতির জেরেই উল্টে যায় একটি মিনিবাস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বিস্তারিত আসছে…