আরামবাগ: পুজোর মুখে নতুন শঙ্কা। আরামবাগ মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। খানাকুলের বন্যার জল স্তর বাড়ছে। রূপনারায়ণ, দারকেশ্বর ও মুন্ডেশ্বরীতে একাধিক বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষি জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। একতলা বাড়ি পর্যন্ত জলে ডুবে রয়েছে। খানাকুল ও পুরশুড়ার গ্রামীণ হাসপাতালেও জল ঢুকেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার আরামবাগ মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক করল রাজ্য প্রশাসন। ছিলেন রাজ্যের কৃষি সচিব ওঙ্কার সিং মিনা।
এদিকে ইতিমধ্যেই খানাকুলের এক ও দুই নম্বর বিডিও অফিসে জল ঢুকে গিয়েছে। খানাকুল থানার সামনেও জল জমে রয়েছে। পানীয় জলের হাহাকার পড়েছে। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার আরামবাগ মহকুমায় পা রেখেছিলেন। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে ক্ষোপ প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে অবস্থা যা তা দেখে মাথায় হাত এলাকার লোকজনের। প্রবীণরা জানাচ্ছেন ৭৮ সালের বন্যাও এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। এখন কীভাবে সরকার গোটা পরিস্থিতি সামাল দেয় সেটাই দেখার।
এদিনের বৈঠকে রাজ্যের কৃষি সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া, সহ-সভাধিপতি কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, আরামবাগের সাংসদ মিতালী বাগ, আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই। ছিলেন আরামবাগ পৌরসভার কাউন্সিলর স্বপন নন্দী সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা। কীভাবে এই বিপর্যয় সামলানো হবে, বন্যা পরবর্তী পর্যায়ে কীভাবে কৃষকদের পাশে থাকা যাবে তা নিয়ে এদিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলে।