Khanakul: অবশিষ্ট নেই নৈবেদ্যর চালটুকুও, বন্যায় সব হারিয়ে মাথায় হাত কৃষক পরিবারগুলোর!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 19, 2021 | 9:28 AM

Flood: খানাকুলের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরপর তিনবারের বন্যায় সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে।

Khanakul: অবশিষ্ট নেই নৈবেদ্যর চালটুকুও, বন্যায় সব হারিয়ে মাথায় হাত কৃষক পরিবারগুলোর!
নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধান জমি (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

খানাকুল: বৃষ্টি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছ না বঙ্গে। একের পর এক দুর্যোগের ঘনঘটা বাঙলার আকাশে। মাঝখানে দুর্গাপুজোর (Durgapuja)সময় কিছুটা রেহাই মিললেও ফের শুরু হয়ে গিয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। প্রতিবছর ভালো ধান চাষের জন্য কৃষকরা তাকিয়ে থাকেন বৃষ্টির দিকে। ভালো বৃষ্টি হলে তা ফসলের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু কে জানত এই অতিবৃষ্টি শেষ করে দেবে সবকিছু।

কৃষকদের মুখে সারাবছরের অন্ন যোগান দেয় বর্ষার ধান । বাদ বাকি ধান বিক্রি করে সংসারের অন্যান্য খরচ চালান তাঁরা। কিন্তু এই বছর পরপর তিন বারের বন্যায় বিঘার পর বিঘা ধানের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শতাধিক গ্রামের অন্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। খানাকুলের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরপর তিনবারের বন্যায় সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে।

এখন বন্যার জল অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ কৃষিজমি এখনও জলের তলায়। পচা ধান গাছের অংশ দেখা যাচ্ছে কেবল মাত্র। যাঁরা খাদ্য উৎপাদন করে তাঁদেরই আজ খাদ্য সঙ্কটে ভুগতে হচ্ছে। বন্যা পরবর্তী পর্যায়ে খানাকুলের কৃষকরা অসহায়।

শতাধিক গ্রামের কৃষক পরিবারের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন আর তাঁদের রোজগার নেই। ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন খাদ্যসংকট অন্যদিকে ঋণ নিয়ে বারে বারে মাঠে ধান রোপণ করেছিলেন কৃষকরা। সেই ঋণ শোধের চাপ।

বন্যার জল অল্প নামতেই কৃষকদের মনে আশা জেগেছিল। আবারও নতুন করে ধান বীজ রোপণ করেছিলেন মাঠে। পরবর্তী পর্যায়ে ফের বৃষ্টি। আবারও বন্যায় ধান গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধান গাছের অবশিষ্ট অংশ পচে গিয়েছে ।

কৃষক পরিবারের এক সদস্যা জানিয়েছেন, “এইতো সামনে লক্ষ্মীপুজো। এত বন্যা হয়েছে যে ধান সব নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা কী করব? এই ধান থেকেই খই, মুড়কি বানাই। মা লক্ষ্মীর হাতে দিই। কিন্তু এইবার কী করব? কী খাব?” অন্য আর এক কষক বলেন,” এখনও জল আছে। নামছে না। ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চাষবাস না করলে খাব কী? ঘরেই বসে আছি। ধান চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করেছিলাম। সব শেষ। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেছে। হাঁড়ি চাড়ানো দায়।”

খানাকুলের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অবশ্য চাষীদের দুর্দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। কৃষকদের বড় উৎসব কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা। নতুন আউসের ধানের চাল থেকে খই, মুড়কি, নাড়ু গ্রামের কৃষক পরিবার কোজাগরী লক্ষ্মীর নৈবেদ্য সাজায় প্রতিবছরই । এবছর নৈবেদ্যর ধান টুকুও অবশিষ্ট নেই কৃষকদের।

আরও পড়ুন: Laxmi Puja: কাল হয়েছে নিম্নচাপ! লক্ষ্মীপুজোর আগে ‘লক্ষ্মীলাভ’ না হওয়ায় মুখ ভার ব্যবসায়ীদের

Next Article
Durga Puja 2021: নিজের হাতে, নিজের বাড়িতে নিষ্ঠাভরে দুর্গাপুজো তৃণমূল সাংসদের স্বামী শাকির আলির
Hoogly: অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে চালের দাম, ‘আপদ’ বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ!