হুগলি:মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস ব্যাকটেরিয়া। যে কি না আক্রমণ করে ফুসফুসে। আর তারপর হয় যক্ষ্মা বা টিবি। সেই ব্যাকটেরিয়াকে মানব শরীর থেকে দূর করতে না পারলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু এবার থেকে আর নয়। ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করতে ঝাঁপিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই লক্ষে সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। হুগলি জেলাতেও চলছে সেই কর্মসূচি।
মঙ্গলবার হুগলি সার্কিট হাউসে জেলা ‘টিবি ফোরামের মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল অনুষ্ঠানের অন্তর্গত এই কর্মসূচি। হুগলিতে টানা একশো দিন ধরে বিশেষ এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। যক্ষ্মা উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে প্রথমে। এরপর পরীক্ষা করানো হবে। তারপর আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। বর্তমানে চলছে এই কর্মসূচি।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানান, “হুগলি জেলায় টিবির প্রবণতা আগে থেকেই বেশি। কারণ গঙ্গার পাড়ে বিভিন্ন কলকারখানা আছে। বিশেষ করে জুটমিল এলাকায় শ্রমিকরা যে ভাবে থাকে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর। টিবি সঠিক সময়ে ধরা না পড়া, চিকিৎসা শুরুর পর নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। তাই মানুষকে সচেতন করতে পারলে, আর তাঁরা নিজে থেকে সচেতন হলে এই টিবি নির্মূল করা যাবে।”
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “তিন মাস ধরে টিবি চিহ্নিতকরণে স্পেশাল ড্রাইভ দেওয়া হয়েছিল। আমরা স্ক্রিনিং করেছি। আগে টিবির চারটি উপসর্গের কথা বলতাম।এখন টেন এস বা দশটি উপসর্গের কথা বলছি। যার ফলে সামান্য উপসর্গ থাকলেও কেউ যেন চিকিৎসার বাইরে না থাকে সেই চেষ্টা করছি। এই স্পেশাল ড্রাইভে আমরা ১ হাজার ৬৩০ জন রোগী খুঁজে পেয়েছি। এই সকল রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হবে।”