Hooghly: উত্তর কাশীতে বিপর্যয়, কৈলাশে গিয়ে মৃত্যু হল ত্রিবেনীর যুবকের
Hooghly: হিমাচলের পাহাড়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা বরফের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজীব। অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। সেই সময়ই তাকে বেস ক্যাম্পে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

হুগলি: কৈলাশে গিয়ে মৃত্যু হল ত্রিবেনীর যুবকের। শ্রাবণ মাসে কিন্নর কৈলাশে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে মৃত্যু হল বাঙালি যুবকের। ত্রিবেণী বেণীমাধবতলার বাসিন্দা রাজীব কুণ্ডু(৩৮)। গত ১ অগস্ট হিমাচলপ্রদেশে রওনা দিয়েছিলেন হুগলির ৫ পর্যটক। উদ্দেশ্য ছিল কৈলাসে যাওয়া। দুর্গম পাহাড়ে তাঁদের মধ্যে তিনজন সেইমতো পৌঁছে যান। গত মঙ্গলবার দুর্গম রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় রাজীবের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হিমাচলের পাহাড়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা বরফের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজীব। অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। সেই সময়ই তাকে বেস ক্যাম্পে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বুধবার তার ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। উত্তর কাশীতে যেভাবে ধস নেমেছে সেই আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে কিন্নর কৈলাশে। যার কারণেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও বাঙালি পর্যটকের পরিবারের তরফে দাবি, সরকারি তরফে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে না প্রশাসন। তাই পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছেন রাজীবের দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য।
রাজীবের জামাইবাবু বলেন, “পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় কোনরকমে টোটো চালিয়ে সংসার চালায় রাজীব। বাড়িতে মা ও ভাই রয়েছে। তার শখ বলতে বিভিন্ন শিবের তীর্থস্থান ঘুরে বেড়ানো শ্রাবণ মাসের আগেই অমরনাথ ঘুরে এসেছে। এবার এই শ্রাবণ মাসেও গিয়েছিল। ঠান্ডা আর শ্বাসকষ্টের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের পরিবার খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে তাই হিমাচল প্রশাসন ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদন করি।”
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, “আমাদের এলাকার যুবকের মৃত্যু হয়েছে কৈলাশে গিয়ে। তার পরিবারের পাশে আমরা আছি। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সবরকম সাহায্যের জন্য।”

