হুগলি: রামপুরহাট কাণ্ডের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতারও হয়েছে অনেকে। এবারের ঘটনাস্থল হুগলির রিষড়া। সেখান থেকে মেশিনগান সহ গ্রেফতার এক দুষ্কৃতী।
চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত্রিবেলা হানা দেয় রিষড়ার ৩ নং নতুনগ্রাম নিত্যানন্দপল্লীতে। সেখান থেকে সৌমেন্দু দাস(বিল্টু)কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে একটি কারবাইনের মত দেখতে ইমপ্রোভাইসড মেশিন গান, একটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। শুধু সৌমেন্দু দাস নয়, পাশাপাশি গোবিন্দ দাস নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা। গোবিন্দর কাছ থেকে তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ২৫/২৭ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার তাদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যে যত বেআইনি অস্ত্র আছে উদ্ধার করতে হবে। এর পরেই পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। হুগলিতেও গত কয়েকদিনে অনেক বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়। ধরা পরে দুষ্কৃতীরা। তবে সেগুলি ছিল হয় পিস্তল নাহলে দেশি পাইপ গান। কিন্তু এবার রিষড়ায় মেশিন গান ধরা পড়ায় চিন্তায় চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারাও।
এদিন রিষড়া থানায় চন্দননগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অরবিন্দ আনন্দ সাংবাদিকদের জানান, গত পনের দিন ধরে গোটা রাজ্যের সঙ্গে চন্দননগর পুলিশও বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে বেআইনি অস্ত্রের খোঁজে।রিষড়ার যে দু’জনকে ধরা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আগেও মাদকের কারবার সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে। তাই তাদের নজরে রাখা হচ্ছিল।
গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃতদের ধরতে হানা দেয় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটি দল। তাদের আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিষড়া থানার ডিসি বলেন,গত পনের দিনে চন্দননগর পুলিশ শুধু শ্রীরামপুর জোনে ৩৪ অস্ত্র মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে ৪২ জন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bankura TMC Protest: ডিজেল ১০০! পেট্রোল পাম্পে ক্রেতাদের গোলাপ দিয়ে অভিনন্দন তৃণমূলের, কেন জানেন?