হুগলি : পড়া না পারাটাই ঘোর অপরাধ! আর তার জেরেই বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। মারের চোটে আট বছরের ছেলের গালে বসে গিয়েছে পাঁচ আঙুলের দাগ, গায়ে কালশিটে। একরত্তির এমন অবস্থা দেখে ঘুম ছুটেছে বাবা-মায়ের। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ওই শিক্ষিকা তো দূর, অন্য কারও কাছে কীভাবে ছেলেকে পড়াবেন, সেটাই ভেবে পাচ্ছে না হুগলির নাথ পরিবার।
হুগলির চুঁচুড়া বুনোকালিতলা এলাকার ঘটনা। সুজিত নাথ ও রাত্রি নাথের আট বছরের ছেলে আদ্রিয়ান নাথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই ছাত্রকে প্রতিবেশী গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে পাঠিয়েছিলেন বাবা, মা। শিক্ষিকার নাম নমিতা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কাছে বেশ কিছুদিন ধরেই পড়ত আদ্রিয়ান। শুক্রবার টিউশন পড়তে যায় আদ্রিয়ান ও তার দিদি সৃজিতা। অভিযোগ, পড়া না করে যাওয়ার জন্য মারধর করা হয় ছোট্ট আদ্রিয়ানকে। তার গালে, পিঠে ও কানের পিছনে কালশিটে দাগ পড়ে যায়।
মা রাত্রি দেবী ছেলেমেয়েকে আনতে গিয়ে দেখেন ছেলের গালে কালশিটে। শুধু গালে নয়, পিঠেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। শনিবারই ছেলেকে তাঁরা নিয়ে যান চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসক ছেলেকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে ওই শিশু। আদ্রিয়ান জানিয়েছে, পড়া না পারায় তাকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার শাস্তি চান আদ্রিয়ানের মা রাত্রি নাথ। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ফোনে জানিয়েছেন, শিশুর পিঠে ও গালে সামান্য চড় মারা হয়েছিল,তবে এমন দাগ কী ভাবে হল জানা নেই। আপাতত কাজের সূত্রে বাইরে আছেন তিনি। ফিরে শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।