হুগলি: সেই জায়গায় নাকি বেশ রমরমা ছিল একদল ডাকাতের। নদী দিয়ে ব্যবসার কাজে যাতায়াত করা ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা এবং সম্পদ লুট করত তারা। আর তারপর সেই সম্পদ দান করা হত গরিব মানুষের মধ্যে। হ্যাঁ, এই বাংলার রবিনহুড ছিল তারা। তবে সেই ডাকাতি করার আগে উপাস্য মা কালীপুজো করত সেই ডাকাত দল। মশাল জ্বালিয়ে চলা সেই পুজো আজ মশাল কালী নামে খ্যাতি অর্জন করেছে। গল্পটি হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া এলাকার।
আজ যুগ পাল্টেছে। ডাকাবুকো সেই ডাকাতদল আজ আর নেই। কিন্তু তাদের ছেড়ে যাওয়া পুজো আজও রয়েছে। আর তার সঙ্গে রয়েছে প্রাচীণ যুগের সেই মশাল। নিয়ম মেনে তাই আজও পুজোর সময় সাজিয়ে তোলা হয় সেই মশাল। জ্বালানো হয় পুজোর সময়। তবে এই মশাল শুধু পুজোয় নয়, ‘ অপরিহার্য’ মশাল কালীর বিসর্জন পর্বেও। ইলেক্ট্রিসিটির যুগে এক ব্যতিক্রমী চিত্র দেখে গোটা গ্রাম। মশাল জ্বালিয়ে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করে মাতৃমূর্তি এগিয়ে যায় নিরঞ্জনের পথে। নিভে যায় মশাল এক বছরের জন্য।