Hooghly: মাটি কোপাচ্ছেন, লাঙল দিচ্ছেন! স্কুলে ঢুকতেই শিক্ষকদের দেখে চমকে উঠবেন বইকি!
Hooghly: স্কুলের এই উদ্যোগের জন্য পাঁচ হাজার টাকার অনুদান মিলেছে। কিন্তু লেবার খরচই যে অনেক। তাই চাষে হাত লাগিয়েছেন নিজেরাই। কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় চাষাবাদ তাঁদের রন্ধ্রেই রয়েছে। ক্লাস নেওয়ার আগে কিংবা শেষে চাষের কাজ হাত লাগাচ্ছেন শিক্ষকরা।
আরামবাগ: স্কুলের সামনেই রয়েছে অনেকটা ফাঁকা প্রাঙ্গণ। স্কুলের গেট পেরিয়ে ঢুকতে গেলেই চমকে উঠতে হয়। আরে শিক্ষকরা কেন মাটি কোপাচ্ছেন, লাঙল দিচ্ছেন! আপাত দৃষ্টিতে অন্য কিছু মনে হতেই পারে, প্রশ্ন করতে জানা যায় আসল বিষয়। স্কুলের সামনে অনেকটা ফাঁকা জায়গা। আর তা দেখেই স্কুলের শিক্ষকদের মাথায় আসে অভিনব চিন্তা। তাঁদের অনেকেই কৃষক পরিবারের সন্তান। তাই ফাঁকা জায়গাতেই স্কুলের ছাত্রদের মিলের জন্য চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন শিক্ষকরা। বীজ বোপন করলেন, বুনলেন শাক সবজির চারাও। স্কুলে রান্না হয় মিড ডে মিল। আর শিক্ষকদের ইচ্ছা, স্কুলের মাঠের আলু, সবজিতেই রান্না হোক মিল। অভিনব উদ্যোগ হুগলির গোঘাট হাইস্কুলে।
স্কুলের এই উদ্যোগের জন্য পাঁচ হাজার টাকার অনুদান মিলেছে। কিন্তু লেবার খরচই যে অনেক। তাই চাষে হাত লাগিয়েছেন নিজেরাই। কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় চাষাবাদ তাঁদের রন্ধ্রেই রয়েছে। ক্লাস নেওয়ার আগে কিংবা শেষে চাষের কাজ হাত লাগাচ্ছেন শিক্ষকরা। এমনকি প্রধান শিক্ষক নিজেই চাষ করছেন আলু। জমিতে বসাচ্ছেন আলুর বীজ।
প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমরা আলুর চারা স্কুলের একদিকে লাগাচ্ছি। অন্য দিকে, পালং শাক, কুমড়ো শাক লাগানো হবে। ফুলকপি, বাঁধাকপিরও চাষ হবে। স্কুলের ছাত্ররা যাতে টাটকা সবজি খেতে পারে, তার জন্যই এই চিন্তাভাবনা।”
স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “আমাদের প্রায় সবাই চাষ করায় অভ্যস্ত। আমাদের বেশিরভাগই এসেছি কৃষক পরিবার থেকেই। সবারই জমি রয়েছে।” রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিদ্যালয়ের সামনের জমির উর্বর মাটি। তাই ফলনও হবে টাটকা।