Hooghly: পঞ্চায়েত সমিতির দখলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল মহিলা সভাপতির

Hooghly: বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এদিন খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতি র মিটিং হলে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হয়।

Hooghly: পঞ্চায়েত সমিতির দখলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল মহিলা সভাপতির
তুমুল উত্তেজনাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2024 | 2:53 PM

হুগলি: পঞ্চায়েত সমিতির দখলকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে। পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মারধর, তৃণমূলের উভয় পক্ষের জমায়েত পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের বাইরে। জমায়েত হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশের তাড়া সহ কোনও কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? এলাকা সূত্রে খবর, খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডগঠন তৃণমূল করার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সঙ্গে খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

এইসময় দিপেন অনুগামী বেশকয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরিস্থিতিকে ঘিরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি টিকিয়ে রেখে পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের একাধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া নইমুল হক ওরফে রাঙা।

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এদিন খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতি র মিটিং হলে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হয়। এদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিশাল পুলিশ ও র‍্যাফের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে। বার বার উত্তেজনা সামাল দিতে যতেষ্ঠ বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

রাঙা গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হয়ে মিটিং স্থল থেকে বেরিয়ে আসেন এক সদস্ত তাপস ঘোষ। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ম্যাডামকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আমাকেও মারধর করা হয়। আর এই ঘটনার মূল দায়ি নইমূল হক ওরফে রাঙ্গা।পনের বছর ধরে করে খাচ্ছে।তোলা তুলছে। যদিও ভিতরে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে বাইরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছিল।”

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায়, আরামবাগ এস ডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আরামবাগ থানার আই সি রাকেশ সিং। বিশাল বাহিনী ও র‍্যাফ নামানো হয়। উভয়পক্ষকেই এলাকা থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়।