ডানকুনি: অনেকক্ষণ থেকেই প্রতিবেশীদের কানে চিৎকারের শব্দ যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সবটা শান্ত হয়ে যাওয়ায় কার্যত সন্দেহ হয় তাঁদের। তারপর উঁকিঝুকি মারতেই খোলসা হল সবটা। নিজের স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার অভিযুক্ত। হুগলি ডানকুনি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হিমনগরের ক্ষুদিরাম বসু পল্লী এলাকার।
বুধবার দুপুর নাগাদ স্ত্রী অর্চনা কুমারী সঙ্গে ঝগড়া হয় স্বামী রাহুল কুমার রায়ের। সেই সময় তুমুল বচসা কানে যায় প্রতিবেশীদের। তবে সন্ধ্যে থেকে কোনও শব্দ কানে যায়নি তাঁদের। তারপরই সন্দেশ হয় এলাকার গৃহবধূদের। প্রথমে উঁকিঝুকি মারেন তাঁরা। তারপরই দেখেন অর্চনা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মেঝেতে। খবর দেওয়া হয় ডানকুনি থানায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
যদিও ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্বামী রাহুল কুমার রায়কে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ডানকুনি থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় পুলিশ আরও জানিয়েছে বিহারের বাসিন্দা রাহুল কুমার রায়। পেশায় গাড়ি ঢালক । বছর তিনেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দম্পতির এক বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। গত ছয় মাস ধরে ডানকুনি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হিমনগরের ক্ষুদিরাম বসু পল্লী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন তাঁরা।
ওই মহিলা বলেন, “ওর স্বামী চিৎকার করে এসে বলছে দেখুন আপনার বোনের কী হয়েছে। তারপর ভিতরে ঢুকে দেখি ও পড়ে রয়েছে। হাত ধরে দেখি ঠান্ডা হয়ে রয়েছে। তখনই বুঝেছি মারা গিয়েছে।”