AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dhaniakhali: মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর, পরিবার বলছে SIR আতঙ্ক! ছুটে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক

SIR Fear: পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এ নিয়ে বাড়িতে নানা কথাও বলেছিলেন ওই গহবধূ। তিনি যে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তা ধরা পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত মানসিক অবসাদের জেরেই এদিন সকালে নিজের শিশুকন্যাকে কীটনাশক খাইয়ে, নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

Dhaniakhali: মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর, পরিবার বলছে SIR আতঙ্ক! ছুটে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক
চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেImage Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2025 | 4:59 PM
Share

ধনেখালি: ফের এসআইআর আতঙ্কের জের? মেয়েকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর। এবার ঘটনা ধনেখালির। ধনেখালি থানার অন্তর্গত সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানা নদী এলাকায় বাপের বাড়ি ২৭ বছরের ওই গৃহবধূর। প্রায় আট বছর আগে হরিপালে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু পারিবারিক বিবাদের জেরে গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে ধনেখালিতেই থাকছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটেছে এই ঘটনা। খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। 

বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি মা-মেয়ে। যদিও শুরুতেই নিয়ে আসা হয়েছিল ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় পিজিতে। সূত্রের খবর, সদ্য মহিলার বাপের বাড়ির সকলকে এসআইআরের ফর্ম দেওয়া হয়। কিন্তু দেওয়া হয়নি তাঁকে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন তারপর থেকেই তিনি আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এদিকে আবার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে সেখান থেকেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। 

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এ নিয়ে বাড়িতে নানা কথাও বলেছিলেন ওই গৃববধূ। তিনি যে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তা ধরা পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত মানসিক অবসাদের জেরেই এদিন সকালে নিজের শিশুকন্যাকে কীটনাশক খাইয়ে, নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। আসে পুলিশও। অসীমা পাত্র যদিও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এসআইআর উদ্বেগ নিয়ে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপি নেতাদের। বলেন, “যেভাবে বিজেপি নেতারা বলছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেব তাতে গোটা বাংলাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগে ডানকুনিতে হয়েছে, এবার এখানে হল। ও এখানে ফর্ম ফিলাপ করতে পারেনি। তাতেই ও আতঙ্কে ছিল। ওর বাবা-ভাই বুঝিয়েছিল এখানে তৃণমূল আছে তোর চিন্তা কিসের! কিন্তু ওর মনে উদ্বেগ তো ঢুকে গিয়েছিল।” অন্যদিকে গৃহবধূর ভাই বলছেন, “ও ফর্ম পায়নি বলেই চিন্তায় ছিল। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল না। ও হয়তো ভেবেছে আমি আর ফর্ম পাব না। সেটা ভেবেই ও এই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছে।”