Hooghly Drowning: ২৫ কিলোমিটার বাসে চেপে স্রেফ গঙ্গায় যান স্নান করতেই, আজ পুলিশ কর্তার কৃপায় পেলেন নতুন জীবন

হুগলি: গঙ্গায় স্নান করা তাঁর বাচ্চা বয়সের সখ। গঙ্গা তাঁর বাড়ির ধারেকাছেও নয়। বাড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। বাসে করে গঙ্গার ঘাটে আসেন, কেবল স্নান করতেই। বছর পঁচাত্তরের হারাধন দাস শুক্রবার সকালেও চুঁচুড়ার প্রসাদ দাস সেন ঘাট ওরফে হারু মণ্ডলের ঘাটে এসেছিলেন। গঙ্গায় স্নানও করছিল, তবে পাড়ের থেকে খুব বেশি দূরে যাননি। আচমকাই মাথা ঘুরে গিয়েছিল তাঁর। জলে পড়ে যান। আর সেসময়ে জোয়ার থাকায় হাবুডুবু খেতে খেতে ভেসে যান। প্রাণে বাঁচলেন বরাত জোরে। পুলিশের তৎপরতায় জীবন পেলেন হারাধন। আপাতত ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

চুঁচুড়ার বড় বাজার এলাকার প্রসাদ দাস সেন ঘাট যা স্থানীয় ভাবে হারু মন্ডলের ঘাট নামে পরিচিত। শুক্রবার দুপুরে স্নান করতে নেমেছিলেন হারাধন । হারাধনের বাড়ি দাদপুর থানার গোস্বামী মালিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বাসে ওই এলাকায় এসেছিলেন। আচমকাই জলে ভেসে যেতে থারেন। চুঁচুড়া থানার পুলিশের টহলদারি একটি দল সেসময় ঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।

বৃদ্ধকে জলে হাবুডুবু খেতে দেখে অনেকে ঘাটে থাকা অনেকে চিৎকার করতে থাকেন। কিছু না ভেবেই চুঁচুড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর সুমন্ত নন্দী গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। বৃদ্ধের কোমরে বাঁধা গামছা ধরে তাঁকে টেনে ঘাটে আনেন। ততক্ষণে বৃদ্ধ প্রায় অচৈতন্য। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ হাবুডুবু খাওয়ায় বৃদ্ধের পেটে অনেকটাই জল চলে গিয়েছে। সেই জল বার করা হয়েছে। বর্তমানে বিপন্মুক্ত তিনি। তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। থানার থেকে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়েই পুলিশ কর্তাকে ধন্যবাদ জানান বৃদ্ধা। চুঁচুড়া থানার আই সি অনুপম চক্রবর্তী জানান, “মানুষের জীবন বাঁচানোর থেকে ভালো কাজ আর কী হতে পারে। আমাদের সহকর্মীরা সেটাই করেছেন।”