হুগলি: রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অতীতে মাঝে মধ্যেই আইএসএফ-কে আক্রমণ শানিয়েছেন। আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকীরাও পাল্টা বিঁধেছেন অধীরদের। তবে এবার লোকসভা ভোটে অধীরের হারে কিছুটা আক্ষেপের সুর ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের গলায়। অধীরের হার প্রসঙ্গে প্রশ্নে নওশাদ বলেন, ‘আমার খারাপ লাগছে। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কণ্ঠগুলি ছিল, তার মধ্যে একটি কণ্ঠ হয়ত কমে যাবে।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ইগো’ ও ‘ঔদ্ধত্য’ বিসর্জন দিয়ে পরবর্তী বিধানসভা ভোটে তৃণমূল-বিজেপিকে আটকানোর ব্লু-প্রিন্ট তৈরির পরামর্শ দেন আইএসএফ চেয়ারম্যান। নওশাদ বলেন, ‘অধীরবাবুর যে ইগো আছে সেটা বিসর্জন দেওয়া দরকার।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নওশাদকের পরামর্শ, ‘ঔদ্ধত্যকে বিসর্জন দিয়ে, মাটির মানুষ হয়ে, কংগ্রেস ছাড়া বাকি যে শক্তিগুলি রয়েছে সেগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করুন। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ও বিজেপিকে কীভাবে পরাস্ত করা যায়, তার রূপরেখা এখন থেকে প্রস্তুত করুন।’
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে বহরমপুর থেকে পরাস্ত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। টানা পাঁচ বারের সাংসদ বহরমপুরের ‘রবিনহুড’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে পরাস্ত করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। প্রসঙ্গত, এর আগে অধীরবাবু বলেছিলেন ভোটে হারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। ভোটগণনা পর্ব শেষে যখন তিনি পরাস্ত হলেন, তখন সেই নিয়ে তাঁকে আবারও প্রশ্ন করা হয়েছিল। যদিও এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করে অধীর চৌধুরী বলে দিয়েছেন, ‘যা করব জানিয়ে দেব।’