Konnagar: বাইক থেকে নামতেও পারেননি, তার আগেই কোপের পর কোপ, কোন্ননগরে নৃংশসভাবে খুন তৃণমূল নেতা
Konnagar: পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিন দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয় বারাসাত,বেলঘড়িয়া থেকে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা। তিনিই তিন লাখ টাকা দিয়ে ভাড়া করে শাসনের বিশ্বজিৎ প্রামাণিক ও বারাসাতের দীপক মণ্ডলকে।

কোন্নগর: বাইক থেকে নামতেও পারেননি, তার আগেই একের পর এক কোপ। কোন্নগর কানাইপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল হাড়হিম সেই সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন। জানা যাচ্ছে, তিন লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিন দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয় বারাসাত,বেলঘড়িয়া থেকে। ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা। তিনিই তিন লাখ টাকা দিয়ে ভাড়া করে শাসনের বিশ্বজিৎ প্রামাণিক ও বারাসাতের দীপক মণ্ডলকে।
ঘটনার দু’দিন আগে অভিযুক্তরা বিশার বাড়িতে আসে। এলাকা রেইকি করে। খুনের পর কিছুটা হেঁটে যায়। তারপর তাদের সেখান থেকে স্কুটারে করে স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে।
সেই ফুটেজে আততায়ীরা কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করছে দেখা যায়। খুনের পর আবার পালিয়ে যেতে দেখা যায় তাদের। এমনকী,রেইকির করার সময় যে আততায়ীরা ফোনে কথা বলছিল সেটাও দেখা যায়। ওই সময়ের ফোনের লোকেশান ট্র্যাক করা হয়। ফোন বন্ধ থাকলেও পুলিশ জানতে পারে কোন এলাকায় রয়েছে। ধৃতদের আগামি কাল শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে।
ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস বলেন,”জমি বিবাদের এই খুন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ এখনো পাওয়া যায়নি। ভারাটে খুনি দিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। এর পিছনে আরও কেউ আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল এলাকায় টার্গেট হয়ে থাকছে। কারণ তৃণমূলকে তো ভোটে হারানো যায় না। আর মানুষের স্বার্থে কাজ করে তারা। তাই বাকিদের টার্গেটে থাকছে। এর পিছনে নানা ধরনের কারণ থাকতে পারে।”

