School Teacher: পাশের স্কুল থেকে ‘ধার’ করতে হল শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা গ্রামবাসীদের

School Teacher: স্কুলের এক শিক্ষিকার দাবি, বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বর্তমানে প্রায় বন্ধ হতে বসেছে ক্লাস।

School Teacher: পাশের স্কুল থেকে 'ধার' করতে হল শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা গ্রামবাসীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2023 | 10:25 AM

হুগলি : শিক্ষিকার অভাব থাকায় বন্ধ হতে বসেছিল স্কুল। গ্রামবাসীদের অনুরোধে পাশের স্কুল থেকে শিক্ষক এনে ক্লাস চালু রাখতে হচ্ছে। এমনই ছবি ধরা পড়ল TV9 বাংলার ক্যামেরায়। হুগলির গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের নকুণ্ডা গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র তিন। প্রধান শিক্ষিকার পদও খালি। অফিসের কাজে মাঝে মধ্যেই বাইরে যেতে হয় স্কুলের শিক্ষিকাকে। মিড ডে মিলের তদারকিও করতে হয় তাঁদেরই। সব ক্লাস মিলিয়ে শতাধিক পড়ুয়া রয়েছেন সেই স্কুলে। সব মিলিয়ে ক্লাস চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। তাই অন্য স্কুলের শরণাপন্ন হতে হল ওই স্কুলকে।

পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন চলে এই স্কুলে। সম্প্রতি উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে একজন শিক্ষিকা অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তারপর অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠেছে। কীভাবে ওই স্কুলে পঠন-পাঠন হবে, প্রশ্ন উঠেছিল অভিভাবকদের মধ্যে। বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ে বাংলারই শিক্ষক নেই! সংস্কৃত, অঙ্ক, জীবন বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকাও নেই এই গার্লস স্কুলে। ছাত্রীদের শেখানোর জন্য আনা হলেও, শিক্ষিকার অভাবে বিদ্যালয়ে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কম্পিউটার। কম্পিউটার ক্লাসের ঘরটা আবর্জনার পাহাড়ে রূপান্তরিত হয়েছে।

TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললেন একজন অভিভাবক। তাঁর মেয়ে নকুণ্ডার ওই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি জানান, মেয়ে বাড়ি এসে যা বলে, তাতে পড়াশোনা প্রায় হয় না বললেই চলে। তিনি বলেন, ‘চাইলে মেয়েকে হাইস্কুলে ভর্তি করাতে পারি। কিন্তু আমি চাই না, গার্লস স্কুলটা বন্ধ হয়ে যাক।’ তাই গ্রামবাসীদের হয়ে তিনি হাইস্কুলে গিয়ে অনুরোধ করেন। এরপর একাধিক শিক্ষক গিয়ে ক্লাস নিয়েছেন হাইস্কুলে। ওই গ্রামেরই নকুণ্ডা কাত্যায়নী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, মেয়েদের স্কুলে শিক্ষিকার অভাব থাকায় তাঁদের স্কুল থেকে রুটিন মাফিক শিক্ষকেরা গার্লস স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন। তাঁর মতে, এবাবে চলতে থাকলে গার্লস স্কুলটি হয়ত বন্ধই হয়ে যাবে।

গার্লস স্কুলের শিক্ষিকাও অভাবের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলা সহ একাধিক বিষয়ের শিক্ষক নেই। তার মধ্যে আবার সরকারি নিয়ম মেনে বদলিও হয়েছে। তাই আপাতত স্কুল চালাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানান, বারবার শিক্ষিকার জন্য দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আপাতত ধার করেই ক্লাস চালাতে হচ্ছে হুগলি ওই স্কুলে।