ভারতে বন্ধ হয়ে যাবে WhatsApp?

WhatsApp Encryption: ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) -র ৪(২) আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে মেটা। এই আইনের ধারায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া যারা মেসেজিং পরিষেবা দেয়, তাদের কোনও মেসেজের  ওরিজিনেটর বা প্রথম যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তাকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।  

ভারতে বন্ধ হয়ে যাবে WhatsApp?
ভারতে বন্ধ হবে হোয়াটসঅ্যাপ?Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Apr 26, 2024 | 1:10 PM

নয়া দিল্লি: ভারতে বন্ধ হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ? দিল্লি হাইকোর্টে এমনই বড় মন্তব্য করল মেটা-র মালিকানাধীন সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ। ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ফেসবুক-হোয়াটস্অ্যাপ। মেসেজিং সংস্থা সাফ জানিয়েছে, তাদের মেসেজের এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হলে, তারা ভারতে আর থাকবে না। পরিষেবা বন্ধ করে দেবে।

ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড) -র ৪(২) আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে মেটা। এই আইনের ধারায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া যারা মেসেজিং পরিষেবা দেয়, তাদের কোনও মেসেজের  ওরিজিনেটর বা প্রথম যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তাকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এ দিন দিল্লি হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চের সামনে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে হাজির আইনজীবী তেজস কারিয়া বলেন, “সাধারণ মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন এদের গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি নীতির জন্য। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন থাকে। আমরা প্ল্যাটফর্ম হিসাবে জানাচ্ছি, যদি আমাদের এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয়, তবে হোয়াটস্অ্যাপ থাকবে না।”

হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী জানান, এই নীতি গ্রাহক বা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার নীতি বিরুদ্ধ। কোনও আলোচনা ছাড়াই এই নিয়ম আনা হয়েছিল। ভারতের এই তথ্য প্রযুক্তি আইনে হোয়াটসঅ্যাপকে বছরের পর বছর কোটি কোটি মেসেজ সংগ্রহ বা স্টোর করতে বলা হচ্ছে। বিশ্বের আর কোথাও এই নিয়ম নেই। তিনি বলেন, “আমাদের মেসেজিংয়ের চেইন সম্পূর্ণ করতে হবে। আমরা জানি না কখন কোন মেসেজ ডিক্রিপ্ট করতে বলা হবে। অর্থাৎ বছরের পর বছর ধরে আমাদের কোটি কোটি মেসেজ সংরক্ষণ করতে হবে।”

হোয়াটসঅ্যাপের তরফে আরও বলা হয়, মূল যে তথ্য় প্রযুক্তি আইন রয়েছে, তাতে এনক্রিপশন ভাঙার কথা বলা হয়নি। দক্ষিণ আমেরিকা, ব্রাজিলেও এমন কোনও নিয়ম নেই।

প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রের তরফে আদালতে বলা হয়েছিল যে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকদের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিক্রি করে। আইনত তাদের এই দাবি করার অধিকার নেই যে তারা গ্রাহকদের গোপনীয়তা রক্ষা করে। বিভিন্ন দেশও ফেসবুককে দায়বদ্ধ হওয়ার কথা বলেছে।

কেন্দ্রের তরফে এনক্রিপশন ভেঙে মেসেজের মূল উৎস খুঁজে বের করার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, সোশ্য়াল মিডিয়ায় অনেক কিছুই হতে পারে। এই আইনের মূল উদ্দেশ্যই হল মেসেজের আসল প্রেরককে খুঁজে বের করা।