Locket Chatterjee: লকেটের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ল অভিযোগ

Ashique Insan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 02, 2024 | 2:17 PM

Locket Chatterjee: অভিযোগ তুলে গত ২৯ মার্চ ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই বিক্ষোভে ব্যান্ডেলের দুষ্কৃতী সঞ্জয় পাশোয়ান ওরফে লালা মা জশোয়া দেবী ছিলেন। আর সেই বিষয়টিকেই ইস্যু করেছেন  তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।

Locket Chatterjee: লকেটের বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ল অভিযোগ
লকেট চট্টোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)
Image Credit source: Facebook

Follow Us

হুগলি:  দুষ্কৃতীদের তোল্লাই দিচ্ছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়! নির্বাচন কমিশনে ঠিক এই অভিযোগই দায়ের করল তৃণমূল। প্রসঙ্গত,   বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগে পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গত ২৯ মার্চ ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই বিক্ষোভে ব্যান্ডেলের দুষ্কৃতী সঞ্জয় পাশোয়ান ওরফে লালা মা যশোয়া ছিলেন। আর সেই বিষয়টিকেই ইস্যু করেছেন  তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। অসিত মজুমদার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারকে মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

অসিত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে যে দুষ্কৃতীরা ব্যান্ডেল শাসন করেছিল। একটা সময় এই দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করেছিল। সেই দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য লকেট চট্টোপাধ্যায় ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে স্মারকলিপি দেয়। ব্যান্ডেলের সব থেকে বড় দুষ্কৃতী লালার মাকে নিয়ে। গুন্ডা মস্তানদের আমদানি করছে। যেদিন ফাঁড়িতে বিক্ষোভ হয়েছে তার দু দিনের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী আক্রান্ত হয়েছেন, অপহরণের চেষ্টা হয়েছেন। লকেটের গুন্ডা মস্তানদের আশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা তাদের প্রশ্রয় দিয়েছে।আমরা এই কারণে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি এই ধরনের প্রার্থীকে যাতে প্রতীক না দেওয়া হয়।” সম্প্রতি বলাগড়ের সভা থেকে তৃণমূলে দুষ্কৃতী যোগ নিয়ে সরব হতে দেখা যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। দুষ্কৃতীরা তৃণমূলকে ফান্ডিং করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে হুগলি লোকসভার বিজেপি কনভেনর সুবীর নাগ বলেন, “এটা পুরোটাই মিথ্যা কথা। দুষ্কৃতীর মাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন কিংবা তাঁকে ছাড়াতে গিয়েছেন তা নয়। পরিবারের এক জন কেউ অন্যায় করেছেন বলে গোটা পরিবার ভুগবে তা তো ঠিক নয়। শিবা কাহারের জন্য গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের সম্পাদক। শিবার বোনকে পুলিশের সামনেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মেরেছে। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্যই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”

Next Article