সিঙ্গুর: রতন টাটার প্রয়ানে শোকের আবহ সিঙ্গুরে। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলছেন, সিঙ্গুরকে শিল্প নগরী হিসাবে তৈরি করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন রতন টাটা। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল। হতাশ সিঙ্গুরের কৃষকরা। খানিক একই সুর জমি আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা তথা সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে দেবীপক্ষেই সিঙ্গুর থেকে বিদায় নিয়েছিল টাটারা। আর এবার দেবীপক্ষতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন রতন টাটা। এদিকে রাজ্যে পালাবদলের আগে নন্দীগ্রামের পাশাপাশি সিঙ্গুরের জমি অন্দোলনও ব্যাপক চাপ তৈরি করেছিল তৎকালীন বাম সরকাররে উপর। সিঙ্গুর আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। প্রশ্ন উঠেছিল বামেদের জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত বাংলা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল টাটাদের। হয়নি ন্যানো কারখানা। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। কিন্তু, রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায় বারবার ফিরে ফিরে আসে টাটাদের প্রসঙ্গ। আন্দোলন ভুল ছিল নাকি বামেরা ভুল, তা নিয়েও বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়।
সেই জমি আন্দোলনের একেবারে প্রথমসারির মুখ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে দেখা যায় তাঁকে। পরবর্তীতে হয়েছেন বিধায়ক। আজও রতন টাটার জন্য তাঁর শ্রদ্ধ অটুট রয়েছে, বলছেন রবীন্দ্রনাথ নিজেই। বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি রতন টাটাজিকে। রতন টাটা বা টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল না। বিরোধ ছিল তৎকালীন বাম সরকারের সঙ্গে।”