সিঙ্গুর: যেটুকু আশা ছিল সেটাও শেষ হয়ে গেল রতন টাটার প্রয়াণে। স্বপ্ন ভঙ্গ শিল্পের, স্বপ্ন ভঙ্গ সিঙ্গুরের জমিদাতা কৃষকদের। এ ক্ষতি অপূরণীয়, বলছেন সিঙ্গুরের ভূমিপুুত্র তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বলছেন, সিঙ্গুরকে শিল্প নগরী করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন রতন টাটা। রতন টাটার প্রয়াণে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল। হতাশ সিঙ্গুরের ইচ্ছুক থেকে অনিচ্ছুক কৃষকেরা। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে কারখানা তৈরি হবে বলে ঘোষণা করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। কেউ কেউ দাবি করেন কারখানা তৈরির ঘোষণার আগে সিঙ্গুরের মাটিতে নাকি একবারই পা রেখেছিলেন রতন টাটা। যদিও সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি কারও।
কিন্তু বাম সরকারের ঘোষণার মধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। জমি বাঁচাতে শুরু হয়ে যায় আন্দোলন। দিনে দিনে আন্দোলনের তীব্রতা এতই বাড়ে যে চাপে পড়ে যায় বাম সরকার। সিঙ্গুর থেকে বিদায় নেয় টাটারা। পড়ে থাকে একের পর একর জমি। যা নিয়ে টানাপোড়েন আজও অব্যাহত। কিন্তু, এখনও সেখানকার কৃষকদের একটা বড় অংশ শিল্পের স্বপ্ন দেখেন আজও।
যদিও বেচরাম মান্না এখন বলছেন, “টাটা গোষ্ঠী বা রতন টাটার বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন ছিল না। ভুল জমি নীতির বিরুদ্ধে এবং তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে ওই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।” যদিও পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বামেরাও। তাঁদে দাবি, আজ যদি সিঙ্গুরে ন্যানোর কারখানা তৈরি হতো তাহলে সবথেকে বেশি লাভবান হতো বর্তমান শাসকদল। সেই সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতায় আসতে পারলেও রাজ্যের অর্থনীতি থেকে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টাটা চলে যাওয়ার কারণে গত ১৩ বছর ধরে রাজ্যে কোনও বিনিয়োগ হয়নি।