Serampore: পুজো যত এগোচ্ছে তালিকা যেন ততই বাড়ছে, অনুদান ফেরাল আরও এক ক্লাব
Serampore: এর আগে হুগলির উত্তরপাড়ার তিনটি,কোন্নগরের তিনটি,শ্রীরামপুরের একটি,বৈদ্যবাটির দুটি পুজো কমিটি অনুদান নেবে না জানিয়ে ছিল। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো রয়েছেই। আর এবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাবুরবাজার বারোয়ারী।
শ্রীরামপুর: ফের সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করল হুগলির আরও একটি ক্লাব। ‘আনন্দ উৎসব নয়,বিজয়া সম্মিলনী নয়,শুধু নীরব মাতৃবন্দনায় হোক আমাদের ব্রত।’ ব্যানারে লিখে সরকারি অনুদান প্রত্যাক্ষান করল ভদ্রেশ্বরের একটি পুজো কমিটি।
এর আগে হুগলির উত্তরপাড়ার তিনটি,কোন্নগরের তিনটি,শ্রীরামপুরের একটি,বৈদ্যবাটির দুটি পুজো কমিটি অনুদান নেবে না জানিয়ে ছিল। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তো রয়েছেই। আর এবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাবুরবাজার বারোয়ারী।
৭৯ বছর আগে শুরু হওয়ায় এই পুজো নিরবচ্ছিন্ন ভাবে হয়ে আসছে। গতবার সরকারি অনুদানের ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিল পুজো কমিটি। এবার আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান নেবেন না এই মর্মে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীকে অবগত করতে ইতিমধ্যেই টাঙানো হয়েছে ব্যানার।
ঠাকুরদালানে তৈরি হয়েছে ঠাকুর। চলছে মণ্ডপের কাজ। তবে পুজোর সময় মণ্ডপে বাজবে না কোনও বক্স। শুধু ঢাক দিয়েই হবে পুজো। কমিটির কার্যকারী সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, “আরজি কর ঘটনার দেশে বিদেশে একটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হচ্ছে। সেই প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারি অনুদান নেব না। কোনও আনন্দ উৎসব করর না। ধর্মের অনুষ্ঠান ধর্মীয় ভাবে পালন করব। এলাকার মানুষকে সংগঠিত করে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে। অনুদান প্রত্যাখ্যান করায় এলাকার মানুষ আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই আগে যা চাঁদা দিতেন তার দ্বীগুণ চাঁদা দিচ্ছেন।” পুজো কমিটির সদস্যা দেবান্বিতা হালদার বলেন, “পুজো করতে হবেই,তাই করা। তবে কোনও উৎসবে থাকছি না।”