হুগলি: দুই দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে হাই ভোল্টেজ লড়াই। একদিকে, পুরনো সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী টলি অভিনেত্রী রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রচার শুরু করেছে দুই দলই। এরই মধ্যে দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটানো হল একটি চিঠি। বুধবার সাত সকালে সেই চিঠি ঘিরেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। চিঠির শিরোনামে লেখা, ‘লকেট চ্যাটার্জীর হাত থেকে বাঁচান।’ আর চিঠি লিখেছেন খোদ বিজেপির মণ্ডল সভাপতিরা। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। তবে বিজেপির দাবি, এসব তৃণমূলের কাজ।
উত্তর চন্দননগরের তালডাঙা, সরিষাপাড়া, বোড়াইচণ্ডীতলা, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকায় এই খোলা চিঠি সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি কর্মীদের ধমক দিচ্ছেন। চিঠিতে লেখা, “৫ বছর উনি আমাদের মণ্ডলে আসেননি। তাতে আমাদের কী দোষ? এখন উনি মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে আমাদের ধমকি দিচ্ছেন। ভোটের পর দেখে নেব বলছেন।” রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
এর আগেও লকেটের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে এলাকায়। যতবার পোস্টার পড়েছে ততবারই লকেট দাবি করেছেন এসব তৃণমূলের কাজ। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই নীচুতলার নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। তবে প্রকাশ্যে সে কথা বলেননি কোনও নেতা।
মণ্ডল সভাপতির দাবি, আসলে তৃণমূল নাম করে চিঠি সাঁটিয়েছে। তিনি বলেন, “রচনা পর্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়েছেন। ৫০ হাজার ভোটে লিড দেব আমরা। হুগলি থেকে জেতাব লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এগুলো হল অপপ্রচার।” লকেট চট্টোপাধ্যায় এই খোলা চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। নিজেদের নাম না লিখে এসব করেছে। যেভাবে সিএএ হয়েছে, মহিলাদের জন্য এত কিছু করেছেন মোদী, তাতে তৃণমূল বুঝতে পারছে যে মাটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।”
তৃণমূল নেতা অসিত মজুমদার বলেন, আমরা তো আগে বলেছি, ৫ বছর কোথায় ছিলেন? এখন এসে নাটক করছেন। এবার তো ওদের মণ্ডল সভাপতিরাই বলছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “লকেটের বিরুদ্ধে কেন এসব করব, আমাদের কি খেয়েদেয়ে কাজ পড়েনি?”