আরামবাগ: আলু চাষিদের লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। সোমবার বিধানসভাতেও সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এ হেন পরিস্থিতিতে এল মর্মান্তিক খবর। মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতি হলেন আলু চাষি। মৃতের নাম শ্যামল ঘোষ ওরফে বাদল।
বাড়ি গোঘাটের মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকা গ্রামে। মঙ্গলবার ওই আলু ব্যাবসায়ী শ্যামল ঘোষ সাড়ে দশটা এগারোটা নাগাদ নিজের দোকানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে অনুমান করেন স্থানীয়দের। এরপর গোঘাট থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে, শ্যামলবাবুর আলু ব্যবসার পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতা ছিলেন। পুলিশ হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসার পরেই কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে তৃণমূল কর্মীদের ভিড়। স্থানীয় মানুষজনের দাবি গত বছর আলুর ব্যবসা করেছিলেন। তবে কৃষকদের টাকা দিতে পারেননি। এবছর তাই শ্যামলবাবুকে কেউ আলু দিচ্ছিলেন না। মানসিক অবসাদে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “গতবছর কৃষকদের থেকে আলু নিয়েছিলেন। তবে টাকা দিতে পারেননি। সেই কারণে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। এই বছর আর কৃষকরা আলু দিতে চায়নি। এরপর আজ দোকানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাদল। ওনার বাড়িতে দুই মেয়ে-বউ রয়েছেন।”
এক এলাকাবাসী বলেন, “উনি একজন সামাজ কর্মী ছিলেন। কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আমরা খুব মর্মাহত। কারণ উনি খুব ভাল মানুষ ছিলেন। এলাকার মানুষের পাশে বিপদে-আপদে দাঁড়াতেন। তাঁর চলে যাওয়ায় আমরা খুবই দুঃখিত।”