হুগলি: সদ্য নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই কঠিন সময়ে স্কুলের ফি বা অন্যান্য বাবদ টাকা না দিতে পারলেও পড়ুয়াকে কোনও ভাবেই শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অথচ আদালতের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় না বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হিন্দমোটরে। অভিযোগ, স্কুলের বর্ধিত ফি না দেওয়ায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি পড়ুয়াদের। হিন্দমোটরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ জানান অভিভাবকরা। পাশাপাশি জিটি রোড অবরোধও করেন তাঁরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা হচ্ছে স্কুলে। একদিকে লকডাউন, করোনা পরিস্থিতি। তবু চলতি শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ৫০ শতাংশ ফি বাড়ানো হয়েছে। অথচ আদালত বলেই দিয়েছে, নন অ্যাকাডেমিক ফি বাদ দিতে হবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে স্কুল ফি বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিভাবকদের একাংশ ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে ফি দিতে চাইছেন। কিন্তু স্কুল তাতেও রাজি নয়। ১০০ শতাংশই দাবি তাদের।
সোমবার অনলাইনে পরীক্ষা ছিল। প্রশ্নপত্রের লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিল পড়ুয়াদের কাছে। এদিকে বহু ছাত্র-ছাত্রী বর্ধিত ফি জমা না করায় তাদের ইউনিট টেস্টে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষার জন্য বসে থেকেও পরীক্ষা দিতে পারেনি। এরপরই সন্ধ্যায় ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা উত্তরপাড়া থানার সামনে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে থানায় অভিযোগও জানান। তাঁদের হুঁশিয়ারি মঙ্গলবার পরীক্ষা না নেওয়া হলে বড়সড় আন্দোলনে নামবেন। যদিও এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি।
আরও পড়ুন: গায়ে ডোরা কাটা দাগ, জ্বলজ্বল করছে চোখ; ‘বাঘের বাচ্চা’র ভয়ে ঘুম উড়েছে উত্তরপাড়াবাসীর
প্রসঙ্গত ফি সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে স্কুল ফি বকেয়া থাকলে বা ফি না দিতে পারলেও রাজ্যের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনও পড়ুয়ার ক্লাস বাতিল করতে পারবে না। স্কুল থেকে নাম বাদ দেওয়ার তো প্রশ্নই নেই। এ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আদালতের অনুমতি অত্যাবশ্যক। তারপরও এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।