হুগলি: সোজা হয়ে দাঁড়ানোরও ক্ষমতা হারিয়েছেন। বয়সের ভারে ঝুঁকে গিয়েছেন। হাতে একটা লাঠি। সেই লাঠিই তাঁর ভর। এসে দাঁড়িয়েছিলেন রচনার সামনে। হ্যাঁ দিদি নম্বর ওয়ান, হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সামনে। চোখে চোখ রেখে ভাঙা গলায় সওয়াল করলেন। হাত ধরে হড় হড় করে টেনে নিয়ে গেলেন রচনাকে। দেখালেন কীভাবে প্লাবন ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁর বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে একটা ছোট্ট কুড়ে ঘর। সেই ঘরও ভেসে যেতে পারে। বাঁধ নির্মাণেও কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, সে কথা সাংসদ রচনার চোখে চোখ রেখে বললেন অশীতিপর এই বৃদ্ধা। হুগলির বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনী,মিলনগর গ্রামের বাসিন্দারা।
বুধবার বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান রচনা। সাংসদকে সামনে ক্ষোভে প্রশাসনের কাজ নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন। পাকাপোক্ত বাঁধ নির্মাণের বদলে বস্তা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। বাঁধ নির্মাণের টাকা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সে বিষয়ে বলতে গিয়েই ওই বৃদ্ধা রচনাকে বলেন, “আমি ওঁদের বারবার বলেছিলাম, বস্তা দেবেন না, বস্তা থাকবে না।” রচনার হাত ধরে টেনে এনে দেখান, “এই দেখুন কী অবস্থা আমাদের। এই খানে ঘর ছিল, হাড়ি কড়াই, সব নিয়ে রাতে হুড়মুড় করে ঘর পড়ে গেল। কোথায় যাব? কোথায় থাকব? কিছু ব্যবস্থা করেন না মা…” কাঁদতে কাঁদতে ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘ছেলে কী করবে মা, তিনশো টাকাও পায় না। কী করে আমরা বাঁচব…’
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আশ্বস্ত করেন, “আমি চেষ্টা করব। এই কাজ তো আমার হাতে নেই। আমাকে অন্যকে দিয়ে কাজটা করাতে হবে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করব, এই কটা ঘরকে যাতে বাঁচানো যায়।”
ভোটের সময়ে এই এলাকাতেই দাঁড়িয়ে প্রচার সেরে গিয়েছিলেন রচনা। এবার এসে বললেন, “তিন মাস আগে এখানে যা দেখে গিয়েছিলাম, এখানে একটা রাস্তা ছিল, তার পাশে মন্দির। সেই মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়েই প্রচার করেছিলাম। সেই মন্দিরটাও নেই। অনেকগুলো বাড়ি নেই। আমি পার্লামেন্টে এই কথা তুলেছিলাম। গঙ্গার ভাঙন রোধে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া আমরা করতে পারব না।”
হুগলি: সোজা হয়ে দাঁড়ানোরও ক্ষমতা হারিয়েছেন। বয়সের ভারে ঝুঁকে গিয়েছেন। হাতে একটা লাঠি। সেই লাঠিই তাঁর ভর। এসে দাঁড়িয়েছিলেন রচনার সামনে। হ্যাঁ দিদি নম্বর ওয়ান, হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সামনে। চোখে চোখ রেখে ভাঙা গলায় সওয়াল করলেন। হাত ধরে হড় হড় করে টেনে নিয়ে গেলেন রচনাকে। দেখালেন কীভাবে প্লাবন ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তাঁর বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে একটা ছোট্ট কুড়ে ঘর। সেই ঘরও ভেসে যেতে পারে। বাঁধ নির্মাণেও কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, সে কথা সাংসদ রচনার চোখে চোখ রেখে বললেন অশীতিপর এই বৃদ্ধা। হুগলির বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনী,মিলনগর গ্রামের বাসিন্দারা।
বুধবার বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান রচনা। সাংসদকে সামনে ক্ষোভে প্রশাসনের কাজ নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন। পাকাপোক্ত বাঁধ নির্মাণের বদলে বস্তা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। বাঁধ নির্মাণের টাকা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সে বিষয়ে বলতে গিয়েই ওই বৃদ্ধা রচনাকে বলেন, “আমি ওঁদের বারবার বলেছিলাম, বস্তা দেবেন না, বস্তা থাকবে না।” রচনার হাত ধরে টেনে এনে দেখান, “এই দেখুন কী অবস্থা আমাদের। এই খানে ঘর ছিল, হাড়ি কড়াই, সব নিয়ে রাতে হুড়মুড় করে ঘর পড়ে গেল। কোথায় যাব? কোথায় থাকব? কিছু ব্যবস্থা করেন না মা…” কাঁদতে কাঁদতে ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘ছেলে কী করবে মা, তিনশো টাকাও পায় না। কী করে আমরা বাঁচব…’
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আশ্বস্ত করেন, “আমি চেষ্টা করব। এই কাজ তো আমার হাতে নেই। আমাকে অন্যকে দিয়ে কাজটা করাতে হবে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করব, এই কটা ঘরকে যাতে বাঁচানো যায়।”
ভোটের সময়ে এই এলাকাতেই দাঁড়িয়ে প্রচার সেরে গিয়েছিলেন রচনা। এবার এসে বললেন, “তিন মাস আগে এখানে যা দেখে গিয়েছিলাম, এখানে একটা রাস্তা ছিল, তার পাশে মন্দির। সেই মন্দিরের পাশে দাঁড়িয়েই প্রচার করেছিলাম। সেই মন্দিরটাও নেই। অনেকগুলো বাড়ি নেই। আমি পার্লামেন্টে এই কথা তুলেছিলাম। গঙ্গার ভাঙন রোধে কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া আমরা করতে পারব না।”