Dev: জল থৈ থৈ ঘাটাল-কেশপুর, বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন দেব
Dev: বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের প্রয়োজন সেই প্রসঙ্গে দেব বলেন,"আমি তো প্রথম দিন থেকে অনুরোধ করেছি ঘাটাল, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল যে ভাবে পরিষেবা দিচ্ছেন তাতে খুশি সকলেই। বন্যা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আরজি কর নিয়ে কোন মন্তব্য না, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের মতো আমিও চাইব ডাক্তাররা তাদের কাজে ফিরে আসুন।
কেশপুর: বাংলায় নিম্নচাপ। তার জেরে লাগাতার বৃষ্টি। আর তাতেই ভাসছে বাংলার একধিক জেলা। সোমবার কেশপুরের ঝলকা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী। তিনি প্রথমে ঘাটাল ও পরে দাসপুরে এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছন।
কেশপুরে দেব বলেন,”রাজ্যে শুধু একটা ইস্যু তো নয়। আমি একজন সাংসদ হিসেবে আরজিকর নিয়ে থাকি তাহলে ঘাটালের মানুষ যাঁরা বন্যায় ডুবে আছেন তাহলে তাঁদের সঙ্গে অবিচার হয়ে যাবে। ঘাটাল জলে ভাসছে। আর মানুষ কষ্টে আছে। কত মানুষের বাড়ি ডুবে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে শিশুদের কাছে যেন খাবার পৌঁছাতে পারে,নৌকার পরিষেবা, ওষুধ, খাবার ওদের সমস্যা।” তিনি আরও বলেন,”বিদ্যুৎ দফতর যেন প্রস্তুত থাকেন বিপদসীমার উপরে জল চলে এলে যেন বিদ্যুত বন্ধ রাখা। জল নেমে যাওয়ার পর মেরামত করে বিদ্যুৎ সংযোগ করা। এটা আমার আছে প্রধান লক্ষ্য।”
বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের প্রয়োজন সেই প্রসঙ্গে দেব বলেন,”আমি তো প্রথম দিন থেকে অনুরোধ করেছি ঘাটাল, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল যে ভাবে পরিষেবা দিচ্ছেন তাতে খুশি সকলেই। বন্যা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আরজি কর নিয়ে কোন মন্তব্য না, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের মতো আমিও চাইব ডাক্তাররা তাদের কাজে ফিরে আসুন। সবাই চাই ন্যায় যেন হয়। যারা যারা দোষী তাঁরা যেন শাস্তি পায়। যতদূর আমার কাছে খবর আজকে বিকেলে মিটিং হওয়ার কথা। আজকে যেন সমাধান হয়। জুনিয়ার ডাক্তার ছাড়া হাসপাতাল চলবে না আমরা সবাই জানি। যতটা সিনিয়র ডাক্তার প্রয়োজন ততটাই সিনিয়র ডাক্তার প্রয়োজন। আমরা যাঁরা জনপ্রতিনিধি আমাদের উপর মানুষের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে। চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেওয়া। সাংসদ হিসেবে দশ বছরে এই আবেদন গুলো বেশি থাকে। হাসপাতাল সংক্রান্ত সমস্যা বেশি থাকে মানুষের মধ্যে। ডাক্তাররাও বোঝেন। আমি জানি না আজকে ফলাফলটা কী হবে। ডাক্তাররা সব থেকে বেশি গুনি।”
দেব আরও বলেন, “আমি যাই বলি না কেন ভাববে দেব সরকারের পক্ষে বলছে, মানুষের হয়ে আমাদের একথা বলতে হবে। এটুকু বলবো প্লিজ ফিরে আসুন। আপনাদের দাবিটা রাজ্য সরকারের মেনে নেওয়া উচিত আমি তার পক্ষে। গত ৪০ দিন ধরে মানুষ যে পরিষেবা পাচ্ছেন না মানুষ যেন তা পান। যারা দোষী তারা যেন শাস্তি পায়।” দেব বলেন, “যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, শুধু বাংলা নয় ভারতজুড়ে হচ্ছে, সত্যি খুব দুঃখ জনক। গতকাল রাত থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, সব নদী বিপদসীমার কাছে রয়েছে।”
এরপর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলেন, “জমির ম্যাপ করা হয়েছে, যাদের যাদের জমি রয়েছে তাঁদের সঙ্গে কথা চলছে। অনেকগুলো সরকারি জমি পাওয়া গিয়েছে। জবর দখল করে রয়েছেন যারা তাঁদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আজই দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই বছরের শেষেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে, তারই প্রস্তুতি চলছে।”