Hooghly School: টুপটাপ জল পড়ছে, ভেসে যাচ্ছে ক্লাসরুম, ছাতা মাথায় বসে পড়ুয়া থেকে স্যর
Hooghly School: পান্ডুয়ার সিপিআইএম প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক আমজাদ হোসেনও ওই প্রাথমিক স্কুল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, কোনও পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাণ্ডুয়া: ছাতা মাথায় ক্লাসরুমে পড়াচ্ছেন শিক্ষক। পড়ুয়ারা ক্লাসে বসে আছে, তাদের মাথাতেও ছাতা। ঝমঝম করে বৃষ্টির জল পড়ছে ক্লাসরুমে। হুগলির পান্ডুয়ার খন্যান্নের বেলুন ধামাসিন পঞ্চায়েতের পাঁচপাড়া প্রাথমিক স্কুলের সেই ছবি ভাইরাল। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। স্কুলের ছাদ নেই। টপটপ করে জল পড়ে। তার মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে! উপায় নেই।
হুগলির পাঁচপাড়া প্রাথমিক স্কুলের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৮ জন। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট চারটি ক্লাসরুম আছে, যার মধ্যে দুটি টিনের চালের ঘর। সেই ঘরের চালই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। চালভেদ করে জল পড়ছে। ভেসে যাচ্ছে ক্লাসরুম।
সেই ছবি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং তার পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত গুপ্ত বলেন, “২০২৩ সালে আমি স্কুলে যোগ দিই। তার আগে থেকেই টিনের ঘর দুটির অবস্থা খারাপ ছিল। আমি প্রশাসনের সব জায়গায় জানিয়েছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। গত বছর ঘর সংস্কারের জন্য এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে।” তবে এখনও কিছুই হয়নি। এদিকে, গ্রামবাসীরাও জানাচ্ছেন, স্কুলে ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, “রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল কী, তা পান্ডুয়ার ওই স্কুল দেখে অনুমান করা যায়। শিক্ষা পরিকাঠামো খাতে যা কেন্দ্র দেয়, সব লুঠপাট হয়ে যাচ্ছে।” অন্যদিকে, পান্ডুয়ার তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “বিজেপির মুখে এসব কথা মানায় না। ওরা যে রাজ্যে আছে আগে সেদিকে তাকাক, তারপর বাংলার কথা বলবে।” স্কুলের বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পান্ডুয়ার সিপিআইএম প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক আমজাদ হোসেনও ওই প্রাথমিক স্কুল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, কোনও পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পান্ডুয়ার বিডিও শেবন্তী বিশ্বাস ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও, তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে পাঁচপাড়া স্কুলের জন্য মোট ১১ লক্ষ টাকার এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। স্কুলে দুটি ত্রিপল পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিডিও-র দাবি, পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে ব্লক প্রশাসন।





