লকেটের কাছে হারে ভেঙে পড়া রত্না এবার মন্ত্রী, চোখ ভিজল বাবাকে মনে করে

রত্না দে নাগ (Ratna Dey Nag)। নির্বাচনী রণক্ষেত্রে তিনি 'জায়ান্ট কিলার'। আজ মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনি আছেন শুনে কান্না চেপে রাখতে পারলেন না রত্না। বারবার কান্না ভেজা চোখে মনে করলেন বাবাকে।

লকেটের কাছে হারে ভেঙে পড়া রত্না এবার মন্ত্রী, চোখ ভিজল বাবাকে মনে করে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 11:54 PM

হুগলি: রত্না দে নাগ (Ratna Dey Nag)। নির্বাচনী রণক্ষেত্রে তিনি ‘জায়ান্ট কিলার’। প্রায় বিশ বছর আগে প্রথম বার বিধানসভায় জিতেছিলেন শ্রীরামপুরের ডাকসাইটে সংগঠক, কংগ্রেসের কেষ্ট মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে। ২০০৯ সালে প্রথম বার লোকসভায় যান আট বারের সিপিএম সাংসদ রূপচাঁদ পালকে পর্যুদস্ত করে। রাজনীতির সেই ‘জায়ান্ট কিলার’ই উনিশের লোকসভা ভোটে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে ভেঙে পড়েছিলেন। তখন তৃণমূল নেত্রী পাশে ছিলেন। আজ মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনি আছেন শুনে কান্না চেপে রাখতে পারলেন না রত্না। বারবার কান্না ভেজা চোখে মনে করলেন বাবাকে।

পেশায় তিনি চিকিৎসক। সাংসদ তকমার থেকেও চিকিৎসক হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত এলাকায়। আবার এখনও তাঁর পরিচয় শ্রীরামপুরের প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা গোপালদাস নাগের মেয়ে হিসেবে। এই পরিচয়কেই সযত্নে আগলে রেখে নিজেকে তুলে ধরতে চান স্বয়ং রত্না। ‘আমিত্ব’ তাঁর অভিধানে নেই যে! একুশের ভোটে জয়ের পর সেই রত্না এবার মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে। সোমবার শপথ গ্রহণের আগে স্মরণ করলেন বাবাকে। কান্নায় ভিজে গেল পান্ডুয়ার বিধায়কের চোখ। ভেজা গলায় বললেন, “২০১৯ -এর লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জীর কাছে হারের পর ভেঙে পড়ে ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সেই সময় আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন তোমাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসব। আজ মন্ত্রিত্ব পেলাম। বাবা থাকলে খুব খুশি হতেন।”

রত্নার বাবা ছিলেন ডাকসাইটের নেতা। কংগ্রেস আমলে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম দফতরের মন্ত্রী সেই গোপাল দাস নাগের সেই চিকিৎসক কন্যাও রাত পেরলে মন্ত্রিসভার শপথ নেবেন। তাই আজ বাবাকেই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে তাঁর।

২০০১ ও ২০০৬ সালে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন রত্না দে নাগ। বিধায়ক থাকাকালীন ২০০৯ সালে তাকে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিতেওছিলেন। তারপর ২০১৪ সালেও হুগলি লোকসভা থেকে সাংসদ হন রত্না দে নাগ। তবে ২০১৯ সালে তিনি লকেটের কাছে হেরে যান। তার পর নিজের চিকিৎসা জগতেই কাটাচ্ছিলেন তিনি। এখনও মুমূর্ষু রোগীর বিনা খরচায় চিকিৎসা করেন তিনি। রাজনীতিক হওয়ার চেয়েও নিজের ডাক্তার পরিচয় আর বাবার মেয়ে হিসেবেই পরিচিত হতে ভালবাসেন রত্না দেবী। তবে এবার তিনিই রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে। তাই আজ সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে বাবাকে।

আরও পড়ুন: প্রার্থী না করার অভিমানে দলত্যাগ মন্ত্রী রত্না ঘোষ করের

জানালেন, মন্ত্রিত্ব পেয়ে রাজ্যের মানুষের জন্য তো কাজ করবেনই। তবে বিধায়ক হিসাবে পাণ্ডুয়ার উন্নয়নে সবসময় সজাগ থাকবেন তিনি। বাবার মেয়ে হিসেবে নাম রাখতেই হবে যে তাঁকে!