হুগলি: ক্যানসারের কারণে বাদ দিতে হয়েছে পা। সাত মাস আগের ঘটনা। তবে জীবনের উদ্যমকে হারতে দিতে নারাজ উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার সৌমিক গোলদার। সেই উদ্যমে ভর করেই ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধনে যাচ্ছেন তিনি। তবে চমক অন্য জায়গায়। এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে অযোধ্যায় যাচ্ছেন তিনি।
২২ জানুয়ারি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। রামমন্দির উদ্বোধনে দেশ বিদেশের ভিভিআইপিরা যেমন আমন্ত্রিত, তেমনই লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষও যাচ্ছেন রামভূমে। বাংলা থেকেও বহু মানুষ যাচ্ছেন। এরইমধ্যে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দুই যুবক। সৌমিক গোলদারের সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁর বন্ধু রাকেশ মণ্ডলও। দু’জনই সাইকেল চালিয়ে যাবেন।
অনেক আগে থেকেই তাঁরা পরিকল্পনা করেছিলেন, সাইকেল চালিয়ে অযোধ্যা যাবেন। এরইমধ্যে পায়ে ক্যানসার ধরা পড়ে সৌমিকের। প্রথমে ২০২০ সালে ডান পায়ে একা টিউমার দেখা দিয়েছিল। তা নিয়ে ভেলোর পর্যন্ত যান। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে অনেকটা ভালও ছিলেন। এদিকে গত বছর আবার স্কুটার নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পায়ে স্টিলের প্লেট বসাতে হয়। পরে সেই প্লেট থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। আবারও ভেলোরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই হাঁটুর নীচ থেকে বাদ দিতে হয় পা।
সৌমিক বলেন, ভাগ্যের সঙ্গে লড়ে তো কিছু করার নেই। ভাগ্যে যা আছে তা হবেই। তবে রামমন্দির দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা তিনি পূরণ করবেনই। সাইকেলে যাচ্ছেন সেখানে। ১০-১২ দিন সময় লাগবে যেতে। সৌমিকের বন্ধু রাকেশের কথায়, গোবরডাঙায় একটা রামমন্দির আছে। সেখানে বসেই সৌমিকের সঙ্গে কথা হয় অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে যাবেন। এরপরই সাইকেলে এত দীর্ঘ পথ যাওয়ার জন্য যা যা দরকার কেনাকাটা করেন তাঁরা। এই অযোধ্যা-যাত্রায় সৌমিকের উৎসাহ দেখে তিনিও তোড়জোড়ে লেগে পড়েন। সৌমিকের বাঁ পা থাকছে সাইকেলের প্যাডেলে, ডান প্যাডেলে থাকছে লাঠি। সাদা গেঞ্জি আর গেরুয়া ধুতিতে সৌমিক, আর রাকেশের সাদা ধুতি। রাম মন্দির দেখতে যাচ্ছেন তাঁরা।