Chandannagar: ১১ বছরে শুধুই পরিদর্শন, হয়নি পরিবর্তন! বাম আমলের অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম এখন দুঃষ্কৃতীদের আখড়া!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 14, 2022 | 3:18 PM

CPI(M): চন্দননগর পুরনিগমের দখলে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু স্টেডিয়ামের কাজ এতটুকু এগোয়নি।

Chandannagar: ১১ বছরে শুধুই পরিদর্শন, হয়নি পরিবর্তন! বাম আমলের অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম এখন দুঃষ্কৃতীদের আখড়া!
বাম আমলে তৈরি স্টেডিয়াম এখন দুষ্কৃতীদের আখড়া (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

চন্দননগর: ২০১১ সাল। রাজ্যে পরিবর্বতন। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে রাজ্যে ফুটল ‘ঘাসফুল’। সারা রাজ্যে তখন পরিবর্তনের রব। এরপর কেটে গিয়েছে এগারো বছর। কিন্তু এই এগারো বছর ধরে শুধুই হয়েছে ‘পরিদর্শন’, ‘পরিবর্তন’ কিছুই হয়নি। বাম আমলে শুরু হওয়া চন্দননগরের স্টেডিয়ামের কাজ এতটুকু এগোয়নি তৃণমূল সরকারের আমলে। উপরন্তু সেখানেই এখন গজিয়ে উঠেছে ছোট-খাটো জঙ্গল। আর গ্যালারির নীচের ঘরগুলি হয়ে উঠেছে দুঃষ্কৃতীদের আখড়া।

চন্দননগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবিরহাট চড়কতলার স্টেডিয়াম। বর্তমানে ওই স্টেডিয়ামের একাংশ ছোট-খাটো জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই মদ-জুয়ার আসর বসছে সেখানে। অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। প্রায় প্রতিদিন যে রাতের অন্ধকারে মদের আসর বসে তা এখানে আসলেই প্রমাণ মিলবে।সমস্ত ঘরগুলির যত্রতত্র পড়ে রয়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস ও মদের বোতল।

গোটা চন্দননগরবাসী চেয়েছিল বাম আমলের অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম তৃণমূল আমলে সম্পূর্ণ হোক। এলাকায় একটি খেলাধুলোর পরিবেশ গড়ে উঠুক। পাশাপাশি স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হোক। কিন্তু সেই চাওয়া,চাওয়াই রয়ে গিয়েছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে কংক্রিটের এই স্টেডিয়াম যেই অবস্থায় ছিলো এখনও ঠিক তেমনটাই রয়েছে।

বিগত ১১বছরে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি চন্দননগর পুরনিগমও তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। কিন্তু স্টেডিয়ামের কাজ এতটুকু এগোয়নি। স্থানীয়রা বলেন, বিগত এগারো বছরে বহুবার সরকারি প্রতিনিধিরা ওই স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামনেই চন্দননগর পুরনিগম নির্বাচন। তাই স্থানীয়রা চায় ভোট মিটে গেলে এবার অন্ততঃ স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হোক।

প্রাক্তন সিপিআই(এম) কাউন্সিলর জয়ন্ত প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা বড় কাজ করতে যে অর্থ দরকার ছিল,তা আমরা প্রাথমিক ভাবে ক্রীড়া দফতর ও তৎকালিন সাংসদ রূপচাঁদ পালের থেকে অর্থ সাহায্য পেয়েছিলাম। তবে পরবর্তীকালে চন্দননগরের পট পরিবর্তন হলে তা থমকে যায়। শুরুতে গার্ড থাকলেও,পরে তা তুলে নেয় পুরনিগম।’ বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল লোক দেখানো স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে। কিন্তু স্টেডিয়ামের কোনও কাজই করেনি। বর্তমানে পরিত্যক্ত ওই স্টেডিয়াম দুঃস্কৃতীদের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে।’

যদিও কাজে দেরি হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে চন্দননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘২০১৬ সালে নির্বাচনের পরে বিধায়ক তথা মন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্রীড়া দফতর থেকে।আমরা পুরনিগমের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়েছিলাম,তবে অর্থ কম থাকার কারণে আমরা সম্পূর্ণ করতে পারিনি।স্টেডিয়ামের বিষয়টিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ণ কাজ খুব শিঘ্রই সম্পূর্ণ হবে।’

আরও পড়ুন: Uttar Dinajpur: সাত তৃণমূল বিধায়কের ‘প্রতিবাদ’! দলবদলুকে ফেরানো যাবে না, চিঠি গেল অভিষেকের কাছে

Next Article