হুগলি: মাঝ রাত অবধি বিডিও অফিস খোলা রাখার অভিযোগে প্রতিবাদে সরব বিজেপি (BJP)। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টা অবধি হুগলির (Hoogly) চণ্ডীতলা-২ বিডিও অফিস খোলা ছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তার আগে, নথি-তথ্য সরাতেই রাত অবধি বিডিও অফিস খোলা। সেখানে তৃণমূলের কয়েকজন লোকও ছিল বলে বিজেপি দাবি করেছে। যদিও পাল্টা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, কাজের কোনও সময় হয় না। গুরুত্ব থাকলে রাতভরও কাজ করতে হতে পারে। যদিও এই অভিযোগকে সামনে রেখে শুক্রবার পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের নেতৃত্ব বিডিও অফিস অভিযানে যায় বিজেপি। তবে সেখানে আধিকারিকদের না পেয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে এলাকায়।
বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “রাত সাড়ে ১২টার সময় বিডিও অফিস খোলা ছিল। সেখানে তৃণমূলের লোকজন ছিলেন। বিডিওর গাড়িও ছিল। আমরা জানতে চাই কী কাজ হচ্ছিল। দেখলাম বিডিও, জয়েন্ট বিডিও কেউই নেই। তবে আমরা আবার আসব। জানতে চাইব, কী গায়েব করার কাজ চলছি। সরকারি অফিস খোলার তো একটা সময় আছে। মাঝরাতে কী চলছিল?”
পাল্টা তৃণমূলের শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, “বিজেপির কোনও কাজ নেই। মানুষের পাশে থাকে না, ওদের কাজ হল অভিযোগ করা। আমরা কাজ করি, সময়টা আমাদের কাছে কোনও বিষয় নয়। পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা আছি। যাদের পরিষেবা না দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তারা তো অনেক কিছুতেই খুঁত খোঁজে। কোনও এমার্জেন্সি কাজ থাকলে রাত জেগে কাজ করতে হতেই পারে। মাঝ রাত কেন, দরকার পড়লে সারা রাত জেগেও কাজ করতে হবে।”
এ বিষয়ে চণ্ডীতলা-২ ব্লকের বিডিও সৌভিক ভট্টাচার্য জানান, আবাস যোজনার কাজ শেষ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। ৩১ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। প্রশাসনিক কাজ চলছিল বলেই অফিস খোলা ছিল। একইসঙ্গে তিনি জানান, সেখানে তৃণমূলের কোনও লোকজন ছিলেন না।