আরামবাগ: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সলতে পাকানোর কাজটা মোটামুটি শেষ করে ফেলেছে শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। শেষবেলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছে পদ্ম শিবির। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির দখলে ছিল ১৮ আসন। গতবার বঙ্গে যে ২৪ আসনে হেরেছিল বিজেপি তার মধ্যে এবার ১০ থেকে ১২ টি আসন ভাল জায়গায় আছে বিজেপি। দলের অন্দরের সমীক্ষা রিপোর্টও বলছে আরামবাগ বিজেপি জেতার জায়গায় রয়েছে। ২০১৯ সালে আরামবাগ আসনে ১১৪২ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এখনও যা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আরামবাগে মেরুকরণের ভোটের সুফল মিলবে বলেই মত বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ।
এই আরামবাগেই ১ মার্চ আসছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটের মুখে মোদী আগমণে যে বাংলার গেরুয়া শিবিরে নতুন করে অক্সিজেনের সঞ্চার হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারে আরামবাগ দখলে মরিয়া দলের উচ্চ নেতৃত্বেও। এখন থেকেই দলের পক্ষে হাওয়া তোলার কাজটাও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। সে কারণেই লোকসভা ভোট প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের প্রথম মঞ্চ হিসাবে আরামবাগকে বেছে নেওয়া অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গেই আরামবাগ লাগোয়া এলাকাগুলিতে দলের অবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা, গোষ্ঠী লড়াই থামানোর উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে দলের তরফে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গোষ্ঠীকোন্দল দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে ভোটে ভালই ফল হতে পারে। কিন্তু, হুগলি নিয়ে দলের অন্দরে লড়াই আছে। দলের অন্দরের টানাটানি রয়েছে ঘাটাল, বিষ্ণুপুরেও। আরামবাগ লাগোয়া লোকসভা হুগলি, শ্রীরামপুর, ঘাটাল, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির ছবি সামনে আসতেই বারবার সামনে এসেছে হুগলির নাম। সেখানকার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম উঠেছে খবরের শিরোনামে। সোজা কথায়, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা কয়েকজন হুগলির বাসিন্দা। ফলে সেই বিষয়টিও আরামবাগে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সভা হওয়ার পিছনে আরও একটি কারণ বলে বিজেপি সূত্রে দাবি। একইসঙ্গে আরামবাগের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল কৃষি প্রধান। ফলে কৃষকদের সম্পর্কে বার্তা দিতেও ওই এলাকা বাছাই করা হয়েছে বলে খবর। ১ মার্চ আরামবাগে কালিপুর ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর চপার নামার কথা দুপুর ২.৫০ মিনিটে। ১ তারিখ রাতে রাজভবন থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন ৯.২৫ মিনিট বেরোবেন কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে।