AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, রেললাইন থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা বলাগড়ে

Youth Dead Body Recovered: আসাদুলের জামাইবাবু শেখ রাজা বলেন, "রাত আড়াইটে নাগাদ আমার শ্যালক ফোন করেছিল। বলেছিল, আমাকে থানায় তুলে এনেছে। একটু ছেড়ে দিতে বলো। মেসেজও করেছিল। থানায় একজন মুহুরিকে ফোন করি। ছেড়ে দিতে বলি। তখন ওই মুহুরি বলেন, ওরকম করে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। টাকা লাগবে। আমি বলি, আসাদুলের কাছে টাকা রয়েছে। টাকা নিয়ে ছেড়ে দিতে বলো।"

Hooghly: থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, রেললাইন থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা বলাগড়ে
শেখ আসাদুল মণ্ডলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2025 | 5:49 PM
Share

বলাগড়: মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে ধরেছিল পুলিশ। নিয়ে এসেছিল থানায়। পরে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল যুবকের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির বলাগড়ে। থানায় বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। থানায় ভাঙচুরও চালানো হয়। থানায় আনার পর কীভাবে ওই যুবকের দেহ রেললাইনে পাওয়া গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের পরিজনরা। যদিও পুলিশের দাবি, রাতেই বেল বন্ডে সই করে যুবক থানা থেকে চলে গিয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শেখ আসাদুল মণ্ডল (২৫)। তাঁর বাড়ি বলাগড়ের ক্ষত্রিয়নগরে। গতকাল গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাইক চালানোর অভিযোগে তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আসাদুল তাঁর জামাইবাবু শেখ রাজাকে ফোনে জানান সে কথা। শেখ রাজা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। পরে আসাদুলকেও ফোন করেন। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি।

শুক্রবার সকালে বলাগড় স্টেশনের পাশে রেললাইন থেকে আসাদুলের মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর ছড়াতেই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন যুবকের পরিবার ও গ্রামবাসীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে থানায় ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙা হয় সিসি ক্যামেরা, চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কর্ণার। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকরা থানায় উপস্থিত হন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “আমাদের ছেলে চলে গিয়েছে, আমরা এর বিচার চাই।” থানা থেকে ওই যুবক কীভাবে রেললাইনে গেলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা।

Hooghly Youth Dead Body Recovered (1)

থানায় বিক্ষোভ মৃতের পরিজনদের

আসাদুলের জামাইবাবু শেখ রাজা বলেন, “রাত আড়াইটে নাগাদ আমার শ্যালক ফোন করেছিল। বলেছিল, আমাকে থানায় তুলে এনেছে। একটু ছেড়ে দিতে বলো। মেসেজও করেছিল। থানায় একজন মুহুরিকে ফোন করি। ছেড়ে দিতে বলি। তখন ওই মুহুরি বলেন, ওরকম করে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। টাকা লাগবে। আমি বলি, আসাদুলের কাছে টাকা রয়েছে। টাকা নিয়ে ছেড়ে দিতে বলো।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে থানায় আনার পর বেল বন্ডে সই করে বেল নিয়ে যুবক থানা থেকে চলে যান। তারপর এদিন সকালে যুবকের মৃত্যুর খবর আসে থানায়।