হাওড়া: মন্দিরতলা মোড়ে প্রশাসনের তরফে টোটোর জন্য নো এন্ট্রি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ওই রাস্তায় প্রবেশের চেষ্টা করে কিছু টোটোচালক। এলাকায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার টোটোচালকদের প্রবেশে বারণ করা সত্ত্বেও তারা ওই রাস্তায় ঢোকার চেষ্টা করে। সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে মদ্যপ অবস্থায় কিছু টোটো চালক এবং তাদের সঙ্গীরা আক্রমণ করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর। তাদের মেরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনায় কার্যত ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিরাপত্তা। এক সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই টোটোচালক দলের একজনকে ধরে ফেলে অন্য এক কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার। তাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
মন্দিরতলা চত্বরের যে এলাকায় টোটোগুলি দাঁড়িয়ে থাকে, সেখান থেকে নবান্ন পায়ে হাঁটা দূরত্ব। নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবৎ টোটো রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই রাস্তাটিও টোটোর জন্য নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় থেকেই টোটো চালকদের মধ্যে একটি ক্ষোভ দানা বাধছিল। আর তারই পরিণতি আজকের এই ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ।
আজ ওই রাস্তায় কয়েকটি টোটো ঢোকার চেষ্টা করলে, সেখানে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের বাধা দেয়। কিন্তু সেই বাধার তোয়াক্কা না করেই তারা ঢোকার চেষ্টা করলে বচসা বাধে। ওই টোটো চালকরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরে দ্বিতীয়বার যখন তারা আবার আসে, তখন টোটোচালকদের দলে লোক আরও বেশি। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার পাশের গলিতে ছিলেন তখন। সেই সময়েই ওই টোটো চালকরা এবং তাদের সঙ্গীরা মিলে সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর চড়াও হয়। তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী, তাকে মারতে মারতে রাস্তার পাশের নর্দমা ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধরের সময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের প্যান্ট ছিঁড়ে যায় বলেও জানা গিয়েছে।
এদিকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের পরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই টোটোচালক ও তাদের সঙ্গীরা। সেই সময় অন্য এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাদের ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছায় এবং মারধরে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।