হাওড়া : ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা। উড়ালপুলের উপর বাইক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি হল দম্পতির। দুর্ঘটনার অভিঘাতে উড়ালপুল থেকে কমপক্ষে ৩০ ফুট নীচে ছিটকে গিয়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। শনিবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের শলপ ব্রিজের উপর। রক্তাক্ত অবস্থায় উড়ালপুলের ধারে সার্ভিস রোডে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দম্পতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ওই দুই জনের নাম প্রসেনজিৎ সিং (২৫) এবং তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী সিং (১৮)। মৃতদের বাড়ি ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া ঘোষ পাড়া এলাকায়। তাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা? জানা গিয়েছে, শনিবার হাওড়ার ইছাপুরে ওই যুবকের দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন দম্পতি। দিদির বাড়িতে শনিবার কালীপুজো ছিল। সেই উপলক্ষ্যেই গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার সময় কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত প্রায় সাড়ে ১২ টা। শলপ ব্রিজের উপর দিয়ে পাকুড়িয়ার বাড়ির দিকে ফিরছিলেন তাঁরা। বাইকের গতিও কিছুটা বেশি ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাইক চালাচ্ছিলেন প্রসেনজিৎ, পিছনের সিটে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী। শলপ ব্রিজ থেকে নামার পথে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ব্রিজের গার্ড ওয়ালে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে ব্রিজের থেকে ছিটকে গিয়ে তাঁরা দুইজনে পড়েন পাশের সার্ভিস রোডে। উড়াল পুলের যে জায়গাটিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন, তাঁরা সেখান থেকে সার্ভিস রোড প্রায় ৩০ ফুট নীচে।
দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাইকটি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা পড়ে থাকেন সার্ভিস রোডে। পরে ডোমজুড় থানার রাতের টহলদারি ভ্যান তাঁদের উদ্ধার করে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দম্পতিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে মৃত যুবকের পকেটে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে তাঁদের শনাক্ত করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বেপরোয়া বাইক চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ভয়ঙ্কর এই বাইক দুর্ঘটনার দৃশ্যও ধরা পড়েছে। বাইক চালানোর সময় ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল কি না, সেই সব দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।