AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah: সকাল থেকে সাড়াশব্দ নেই, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙতেই দম্পতি ও যুবককে দেখে আঁতকে উঠলেন প্রতিবেশীরা

Howrah: হাটপুকুর এলাকায় একটি আবাসনের তিনতলায় স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বলরাম খাঁ। প্রতিবেশীরা বলছেন, বলরামবাবু জীবনবিমার এজেন্ট ছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী পোস্ট অফিসে কাজ করতেন। তাঁদের ছেলে আইটি সেক্টরে কাজ করতেন।

Howrah: সকাল থেকে সাড়াশব্দ নেই, ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙতেই দম্পতি ও যুবককে দেখে আঁতকে উঠলেন প্রতিবেশীরা
ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল দম্পতি ও তাঁদের পুত্রের দেহImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2025 | 3:48 PM
Share

হাওড়া: বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের তিনজনের মৃতদেহ। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে এক দম্পতি ও তাঁদের একমাত্র পুত্রের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি হাওড়ার জগাছা থানার হাটপুকুর এলাকার। মৃতদের নাম বলরাম খাঁ (৬৬), শেলী খাঁ (৫৪) এবং সমব্রিত খাঁ (৩২)। বিষাক্ত কিছু খেয়ে তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।

হাটপুকুর এলাকায় একটি আবাসনের তিনতলায় স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বলরাম খাঁ। প্রতিবেশীরা বলছেন, বলরামবাবু জীবনবিমার এজেন্ট ছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী পোস্ট অফিসে কাজ করতেন। তাঁদের ছেলে অনলাইনে বাড়ি থেকেই ব্যবসা করতেন বলে জানা গিয়েছে।

ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে বলরামবাবুর এক প্রতিবেশী বলেন, “এদিন সকাল থেকে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ ছিল। কয়েক ঘণ্টা পরও কেউ দরজা খোলেননি। তখন বলরামবাবুর আত্নীয়দের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে।” জানা গিয়েছে, একটি রুমে বলরামবাবু ও তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ পড়ে ছিল। অন্য রুমে তাঁদের ছেলের দেহ পড়ে ছিল। তিনজনেরই মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল।

আত্মহত্যার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে?

প্রতিবেশী ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “সাড়ে তিন বছর আগে ওঁরা এখানে এসেছেন। কখনও বাড়িতে ঝগড়া হতে শুনিনি। ছেলেটি সবসময় চুপচাপ থাকত। ওই দম্পতিও হাসিখুশি থাকতেন। গতকালও আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেছেন। আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। কেন এমন করলেন, বুঝতে পারছি না।” মৃত শেলী খাঁর বোন স্বাতী মিত্র বলেন, “রোজই কথা হত।গতরাতে কয়েকবার ফোন করে না পাওয়ায় আজ সকালে দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি।কোনও ঝামেলা, অশান্তির কথা জানতে পারিনি।”

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রচুর টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এদিন সকালেও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী এসেছিলেন ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে। কত টাকার ঋণ ছিল, তা খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। অন্য কোথাও ঋণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।