AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Leader: তপন দত্ত খুনে নাম ছিল এই বাবু মণ্ডলের, কেন হঠাৎ গুলি? বিস্ফোরক দাবি প্রতিমার

TMC Leader: ২০২২ সালে ৯ জুন আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। শুরু হয় তদন্ত। আগামী মাসে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা সিবিআই-এর, এমনটাই জানান প্রতিমা দত্ত। তিনি আরও বলেন যে, তদন্তকারীদের কাছে মুখ বন্ধ রাখার জন্যই এভাবে গুলি চালিয়ে দেবব্রত মণ্ডলকে ভয় দেখানো হল।

TMC Leader: তপন দত্ত খুনে নাম ছিল এই বাবু মণ্ডলের, কেন হঠাৎ গুলি? বিস্ফোরক দাবি প্রতিমার
Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2025 | 11:18 AM
Share

হাওড়া: তৃণমূল নেতা বাবু মণ্ডলকে কেন গুলি করা হল? এবার মুখ খুললেন নিহত পরিবেশকর্মী তপন দত্তের স্ত্রী। প্রতিমা দত্ত প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বাবু মণ্ডলের মাথায় না গুলি করে কোমরে গুলি করা হল? আসলে শুধুমাত্র ভয় দেখানোর জন্যই এই হামলা বলে দাবি তপন দত্তের স্ত্রীর। শুক্রবার বসুকাঠি সাঁপুইপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবব্রত মণ্ডল ওরফে বাবু মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।

প্রতিমা দত্ত জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার্জশিটে নাম ছিল দেবব্রত মণ্ডলের। পরে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে তাঁর নাম বাদ যায়। বাদ দেওয়া হয় প্রভাবশালী কয়েকজন তৃণমূল নেতার নামও। যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছিল, পরে তারাও বেকসুর খালাস হয়ে যায়। সুবিচার ও সিবিআই তদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতিমা দত্ত।

২০২২ সালে ৯ জুন আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। শুরু হয় তদন্ত। আগামী মাসে চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা সিবিআই-এর, এমনটাই জানান প্রতিমা দত্ত। তিনি আরও বলেন যে, তদন্তকারীদের কাছে মুখ বন্ধ রাখার জন্যই এভাবে গুলি চালিয়ে দেবব্রত মণ্ডলকে ভয় দেখানো হল। তাঁর আরও দাবি, তাঁর স্বামীর হত্যার ঘটনায় মূলচক্রীরা এই কাজ করিয়েছে। তিনি বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে পরিষ্কার যে খুন করা নয়, ভয় দেখানোই ছিল আসল উদ্দেশ্য।”

২০১১ সালের ৬ মে খুন করা হয়েছিল বালির পরিবেশবিদ তপন দত্তকে। সিআইডি-র চার্জশিটে অরূপ রায়, কল্যাণ ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল। নাম ছিল এই বাবু মণ্ডলেরও। পরে অরূপ, কল্যাণদের মতোই বাবু মণ্ডলের নামও বাদ যায় চার্জশিট থেকে। প্রতিমা দত্তের দাবি, সম্প্রতি সিবিআই ওই মামলার তদন্তে গতি বাড়িয়েছে। তাই ওই তৃণমূল নেতা যাতে কোনও বেফাঁস কথা বলে না বসে, তার জন্যই এভাবে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিমা দত্তের।