AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Laxmi Puja: লক্ষ্মীপুজোর জন্য বিখ্যাত খালনা গ্রাম কোন জেলায় জানেন?

হাওড়া জেলার শেষ সীমান্তে আমতা দু'নম্বর ব্লক ও জয়পুর থানা। এই এলাকার মধ্যেই খালনা গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি দুর্গা ও কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লক্ষ্মীপুজো বিখ্যাত। সরকারি হিসেবে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫টি বারোয়ারী লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা জানিয়েছেন, সরকারি খাতায় সব পুজো নেই। ওই গ্রামে শতাধিক পুজো হয়।

Laxmi Puja: লক্ষ্মীপুজোর জন্য বিখ্যাত খালনা গ্রাম কোন জেলায় জানেন?
খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপুজোImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2023 | 12:02 AM
Share

আমতা: এক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালক তথা ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অংশগ্রহণকারীদের সামনে প্রশ্ন রেখেছিলেন “বারোয়ারী লক্ষ্মীপূজার জন্য বিখ্যাত খালনাকে বলা হয় লক্ষ্মীর গ্রাম। এটি কোন জেলায় অবস্থিত? অপশন এক হাওড়া, অপশন দুই বাঁকুড়া।” প্রতিযোগী সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন অপশন দুই বাঁকুড়া। সঞ্চালক সৌরভ বলেছিলেন সেই উত্তর ভুল ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, সঠিক উত্তর হল হাওড়া। অংশগ্রহণকারী এর জন্য মাইনাস ছয় পেয়েছিলেন। হাওড়া জেলার শেষ সীমান্তে আমতা দু’নম্বর ব্লক ও জয়পুর থানা। এই এলাকার মধ্যেই খালনা গ্রামের অবস্থান। এই গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি দুর্গা ও কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় লক্ষ্মীপুজো বিখ্যাত। সরকারি হিসেবে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫টি বারোয়ারী লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা জানিয়েছেন, সরকারি খাতায় সব পুজো নেই। ওই গ্রামে শতাধিক পুজো হয়।

খালনা গ্রামের ক্ষুদিরায়তলায় স্থানীয় কোহিনুর ক্লাবের লক্ষ্মীপূজো ১৫৭ বছরে পড়লো। প্রতি বছর তাঁরা বিভিন্ন ধরনের থিম উপস্থাপন করেন। এবারের তাঁদের থিম হলো “দি জঙ্গল বুকে”। এর জন্য গোটা মণ্ডপটিকে কৃত্রিম জঙ্গল, মৌমাছি সহ মধুর চাক, ভল্লুক, বাঘ, জিরাফ সহ একাধিক পশু তৈরি হয়েছে। জঙ্গলের আদলে এখানে লক্ষী প্রতিমা তৈরি হচ্ছে।

পশ্চিম খালনা রাজবংশী পাড়া বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো এবছর ১০৩ বছরে পড়ল। এ বছর তাদের থিম “বেতার তরঙ্গ”। এ জন্য মণ্ডপের সামনে একটা বড় রেডিয়ো তৈরি করা হয়েছে।উদ্যোক্তাদের পক্ষে উদয় বোধক বলেছেন, “মণ্ডপের সামনে বড় রেডিয়ো থাকবে। এদিকে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র, পঙ্কজ মল্লিক, বাণী কুমারের মহিষাসুরমর্দিনি এবং রেডিয়োর গান, নাটক, খবর শোনা যাবে। খালনা আমরা সবাই এর পুজো ৪৪ বছরে পড়ল। পুজো কমিটির পক্ষে আশিস বোধক জানান তাঁদের থিম তুঙ্গারনাথের মন্দির।

রবীন্দ্রনাথের সহজ পাঠের স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের অলংকার এর রূপ দিয়েছিলেন নন্দলাল বসু। আমরা সকল ক্লাবের পক্ষ থেকে এবারের তাঁদের থিম “সহজ পাঠ”। পুজোয় অলঙ্করনের দায়িত্ব থাকা দীপক কুমার মান্না ও সম্পাদক খালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা বলেন গোটা মন্ডপে জুড়ে বড় বড় ফ্লেক্সের মাধ্যমে “অ থেকে চন্দ্রবিন্দু” পর্যন্ত ছবিসহ অক্ষর তুলে ধরা হচ্ছে ।

খালনা গ্রামটি আমতা বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। আমতার বিধায়াক সুকান্ত পাল বলেন, “খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপূজো আমাদের গর্ব। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক দিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প ছাড়া ও মেডিকেল টিমও থাকছে।”