Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ লিলুয়ার সাব ইন্সপেক্টর, এলাকায় নামল র‌্যাফ

দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষে হল বোমাবাজি, ধারালে অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ। এমনকি চলল গুলিও। আর দুষ্কৃতীদের ছোড়া সেই গুলিতেই আহত হলেন লিলুয়া থানার এক সাব ইন্সপেক্টর।

দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ লিলুয়ার সাব ইন্সপেক্টর, এলাকায় নামল র‌্যাফ
আহত পুলিশ অফিসারের ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2021 | 11:48 PM

হাওড়া: দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষে হল বোমাবাজি, ধারালে অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ। এমনকি চলল গুলিও। আর দুষ্কৃতীদের ছোড়া সেই গুলিতেই আহত হলেন লিলুয়া থানার এক সাব ইন্সপেক্টর। সোমবার রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল লিলুয়ার বামনগাছি ‘সি’রোডে। ঘটনার পরই রাতে এলাকায় নামল র‌্যাফ। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতেই এলাকায় চালানো হল তল্লাশি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে অকুস্থলে ছুটে যায় লিলুয়া থানার পুলিশ বাহিনী। সেই দলে ছিলেন সুমন ঘোষ নামে লিলুয়া থানার সাব ইন্সপেক্টরও। অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ায়। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ শুরু করে তারা। চলে গুলিও। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও আক্রমণ শুরু হয়। এর মধ্যে একটি গুলি এসে লাগে এসআই সুমন ঘোষের বাম পায়ে।

পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে সুমনবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত পর্যন্ত ওই হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন তিনি। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘দু’পক্ষের মধ্যে গোলমালের সময় সুমনবাবু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর বাঁ-পায়ে গুলি লেগেছে। ওয়ান শাটার থেকে গুলি চালানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চলছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বামনগাছি সি রোডের বাসিন্দা এলাকার পরিচিত ব্যবসায়ী ও তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী সন্তোষ মুখিয়া নামে এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে সতীর্থরা যখন সালকিয়া বাঁধাঘাট শ্মশানে যান সেখানে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কেন্দ্র করে গোলমাল শুরু হয়। পরস্পরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ শুরু হয়। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই বেলগাছিয়া সি রোডে পুলিশি পাহারা বসানো হয়।

এরই মধ্যে এ দিন সন্ধ্যায় সি রোডে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের আগ্নেয়াস্ত্র, বোম, ভোজালি নিয়ে সংর্ঘষ শুরু হয়। এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ নস্কর বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই দু’পক্ষ বোমা মারতে থাকে। গুলি চালায়। তলোয়ার, ভোজালি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে তারা। আমরা আতঙ্কে ঘরে ঢুকে পড়ি।”

আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষের মন্তব্যই সন্ত্রাসের কারণ’, খেদ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতির, সমর্থন ঘাসফুলের 

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভাস্কর ভট্টচার্য দাবি করেন,‘‘যিনি মারা গিয়েছেন তিনি দলের কোনও পদাধিকারী ছিলেন না। এরমধ্যে কোনও রাজনৈতিক ব্যাপার নেই। ঠিক কি ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’